ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, তলিয়ে গেল একাধিক বাড়ি-গাড়ি, ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

ফের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী। শনিবার যমুনা ভ্যালিতে এই ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে নওগাঁ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একাধিক বাড়ি, হোটেল ও ছোট গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গেছে। কমপক্ষে ১২টি বাড়িতে কাদাজলের স্রোত ঢুকে পড়েছে।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ:

জেলা শাসক প্রশান্ত আর্য জানিয়েছেন, সাইওরি ফল পট্টিতে শনিবার সন্ধ্যায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পর নিচু এলাকাগুলো আবারও প্লাবিত হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, কারণ আগে থেকেই সতর্কবার্তা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রবল বেগে কাদাজলের স্রোত গ্রামের রাস্তা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে আবারও নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা:

এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, তিনি উত্তরকাশী জেলার নওগাঁয়ের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অবগত এবং জেলা শাসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তিনি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার ও ত্রাণকাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সকলের সুরক্ষার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনাও করেছেন।

পূর্ববর্তী বিপর্যয়:

উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের শুরুতেই উত্তরকাশীর ধারালি গ্রামে পরপর মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বান এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন এবং গঙ্গোত্রী ধামের সঙ্গে সমস্ত রাস্তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল পাঁচ এবং শতাধিক মানুষ নিখোঁজ ছিলেন, যার মধ্যে ১১ জন সেনা জওয়ানও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। সেই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জানিয়েছিলেন, এক হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ছয় মাস ধরে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণ দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এবারও নতুন করে একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই পাহাড়ি রাজ্য আবারও বিপর্যস্ত।