₹২,৫৫৩ কোটি অতিরিক্ত আয়! জাতীয় গড়কে টেক্কা দিয়ে পাঞ্জাবের GST সংগ্রহে ২২.৩৫% উল্লম্ফন— কী সেই ‘মাস্টারপ্ল্যান’?

পাঞ্জাব সরকার আরও একবার তাদের আর্থিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছ প্রশাসনের প্রমাণ দিল। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম ছয় মাসে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) রাজ্যটি GST (পণ্য ও পরিষেবা কর) সংগ্রহে অভূতপূর্ব ২২.৩৫% বৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে, যা দেশের গড় ৬% বৃদ্ধির তুলনায় চার গুণেরও বেশি।

এই সময়ে পাঞ্জাবের মোট GST সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ₹১৩,৯৭১ কোটি, যা গত বছর একই সময়ের ₹১১,৪১৮ কোটির তুলনায় ₹২,৫৫৩ কোটি বেশি।

সফলতার নেপথ্যে কঠোর নীতি:
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চীমা এই অর্জনকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বলেন, গত বছরের ৫% বৃদ্ধির তুলনায় এবার এই হার ২২.৩৫% হয়েছে। তিনি এই সাফল্যের কৃতিত্ব দেন সরকারের কর ফাঁকির বিরুদ্ধে কঠোর নীতি এবং কার্যকর প্রয়োগ ব্যবস্থাকে (Effective Enforcement)।

ট্যাক্সেশন বিভাগ এই সময়ের মধ্যে ১,১৬২ করদাতার ₹২৪৬ কোটি টাকার ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট (ITC) বাতিল করেছে এবং কর জালিয়াতির ঘটনায় একাধিক এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে। বিশেষত, রোড চেকিং এবং পরিদর্শনের মাধ্যমে জরিমানা সংগ্রহে ১৩৪%-এর এক চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

অন্যান্য ক্ষেত্রেও নজরকাড়া সাফল্য:
পাঞ্জাব শুধু GST-তেই নয়, VAT এবং CST-তেও ১০% বৃদ্ধি অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, পাঞ্জাব স্টেট ডেভেলপমেন্ট ট্যাক্স (PSDT) সংগ্রহে ১১% বৃদ্ধি ঘটেছে। অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে মে ২০২৫-এ বিশ্বজুড়ে ‘যুদ্ধ-সদৃশ’ পরিস্থিতি, ভোক্তা চাহিদা হ্রাস এবং রপ্তানিতে শুল্কের চাপ— এই সমস্ত অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের নেতৃত্বে পাঞ্জাব সরকার স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং দক্ষ প্রশাসনের মাধ্যমে কেবল রাজস্ব সংগ্রহের নতুন রেকর্ড তৈরি করেনি, বরং রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যেরও অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটিয়েছে। এই সাফল্য অন্যান্য রাজ্যগুলির জন্যও একটি অনুপ্রেরণা যে দৃঢ় সঙ্কল্প এবং স্বচ্ছ নীতির মাধ্যমে আর্থিক চ্যালেঞ্জকে সুযোগে রূপান্তরিত করা যায়।