চাঙ্গুর বাবার পর এবার ম্যাথুজ! চিকিৎসার আড়ালে ধর্মান্তকরণ চক্র যোগীর প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ, নেপথ্যের মূল রহস্য ফাঁস!

চিকিৎসা ও আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে হিন্দুদের ধর্মান্তকরণ (Hindu Conversion) করার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ-এ। ধর্মান্তকরণ চক্রের মূল মাথা হিসেবে পরিচিত মলখন ওরফে ‘ম্যাথুজ’-কে পুলিশ গ্রেফতার করলেও, যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নাকের ডগায় এই চক্রের সক্রিয়তা প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোহনলালগঞ্জের জ্যোতি এলাকার একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের পাশে একটি খ্রিস্টান সংগঠন চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রদান করে। মূলত কুষ্ঠ রোগীদের সেখানে চিকিৎসার পর জ্যোতি নগরেই রাখা হয়। অভিযোগ, এই চিকিৎসার আড়ালেই চলছে ধর্মান্তকরণ।
‘অলৌকিক ক্ষমতা’র ম্যাথুজ
তদন্তে জানা গিয়েছে, ধর্মান্তকরণ-চক্রের মূল মাথা ম্যাথুজ ধর্ম পরিবর্তন করে মলখন নাম নিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি চিকিৎসা এবং ‘চমৎকারের’ নাম করে হিন্দুদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতেন।
লখনউ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নিগোহান গ্রামের একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মাঠের মাঝখানে তৈরি একটি বাড়িতে নিয়মিত বাইবেল পড়ানো হতো। সেখানে যোগ দেওয়া গ্রামবাসীরা নিজেরাই ম্যাথুজের অলৌকিক ঘটনাবলীর গল্প বলেন। মহিলারা দাবি করেন, ম্যাথুজের প্রার্থনা সভায় যোগদানের পর তাঁদের অসুস্থতা সেরে গিয়েছে।
সিন্দুর মুছে ‘জয় মসীহ’ জপ
এই প্রার্থনা সভায় যোগ দেওয়া বহু হিন্দু মহিলা স্বীকার করেন যে তাঁরা আর সিঁদুর পরেন না এবং খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন। গ্রামের মানুষ এখন “জয় শ্রী রাম” বলার পরিবর্তে “জয় মসীহ” জপ করেন। এমনকি কেরল থেকেও মানুষ এই সভায় যোগ দিতে আসতেন।
ধর্মের আড়ালে অলৌকিক নিরাময় এবং চিকিৎসার প্রলোভনে ধর্মান্তর! ম্যাথুজের মতো ব্যক্তিরা লখনউয়ের কাছে এতদিন কীভাবে সক্রিয় ছিল, তা নিয়ে এখন প্রশাসনিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশ মলখন ওরফে ম্যাথুজকে গ্রেফতার করেছে এবং মোহনলালগঞ্জ, নাগরাম, নিগোহান এবং গোসাইগঞ্জের মতো এলাকাগুলিতে ধর্মান্তকরণ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।