বৈশাখ মাস এখনও আসেনি, কিন্তু তার আগেই তীব্র গরমে অস্থির হয়ে উঠছে মানুষ। ফলে, এক গলা শীতল পানীয় পান করতে বাঙালিরা এখন ছুটে আসছেন বিয়ার খেতে। সাপ্তাহিক ছুটিতে পার্টি করার চাহিদা এখন রাম বা হুইস্কির পরিবর্তে বিয়ারের দিকে ঝুঁকছে। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিয়ারের বিক্রি, যা সুফল দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

এবার সরকারের জন্য আবগারি শুল্ক বাবদ মোটা অঙ্কের আয় করতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চলতি অর্থবর্ষ (২০২৪-২৫) শেষ হওয়ার আগেই তারা আবগারি শুল্ক থেকে ১৯,৬০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করার আশা করছে। তাপমাত্রা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিয়ারের বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়ার এই আশা করেছে সরকার।

সরকারের একটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে আবগারি শুল্ক থেকে আয় হয়েছে ১৭,৫৮৫ কোটি টাকা। মার্চে হোলি উৎসব এবং গরম আবহাওয়ার কারণে বিয়ারের বিক্রি আরো বেড়ে গেছে, ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে শুল্ক আয় ১৯,৬০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ২১.৫ লক্ষ ক্যাশ বিয়ার বিক্রি হয়েছে, এবং মার্চ মাসে এই সংখ্যা ২৭ লক্ষ ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যে ২,০৮৮ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে, যা সরকারের আয়কে আরো বাড়িয়েছে।

২০২২-২০২৩ আর্থিক বছরে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আবগারি শুল্ক থেকে ১৬,২৬৬ কোটি টাকা আয় করেছিল, আর ২০২৩-২০২৪ সালে এটি বেড়ে ১৮,০০০ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে।

রাজ্যের রাজস্বের প্রধান উৎসগুলির মধ্যে অন্যতম হলো আবগারি শুল্ক, স্ট্যাম্প শুল্ক এবং গণপরিবহন। তবে, ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজ্যের আনুমানিক রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ৩৫,৩১৪ কোটি টাকা।