দিঘা-মন্দারমণিতে হয়রানি? আর থানায় ছুটতে হবে না, পুলিশকে মেসেজ করলেই কেল্লাফতে!

বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষের আমেজে কার্যত জনসমুদ্রের আকার নিয়েছে দিঘা ও মন্দারমণি। সমুদ্রের নোনা হাওয়ায় গা ভাসাতে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার পর্যটক। আর এই উপচে পড়া ভিড়ের সুযোগ নিয়ে যাতে কোনো অসাধু চক্র পর্যটকদের হয়রানি করতে না পারে, তার জন্য এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল কাঁথি মহকুমা পুলিশ। এবার থেকে সৈকত শহরে কোনো সমস্যায় পড়লে আর থানায় ছুটতে হবে না, একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই মিলবে ত্বরিত সমাধান।

শুক্রবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুনকুমার দে এই বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেন। পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে একটি হেল্পলাইন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর— ৭০৪৭৯৮৯৮০০। হোটেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, শ্লীলতাহানি, ইভটিজিং, অটো বা টোটো চালকদের দুর্ব্যবহার কিংবা কোনো ধরনের প্রতারণার শিকার হলে সরাসরি এই নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।

এই পরিষেবার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, অভিযোগের পাশাপাশি পর্যটকরা চাইলে অডিও, ভিডিও কিংবা তাদের ‘লাইভ লোকেশন’ পাঠাতে পারবেন। এর ফলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে পারবে। পুলিশ সুপার স্পষ্ট জানিয়েছেন, পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে কেউ যাতে অসহায় বোধ না করেন, তার জন্যই এই উদ্যোগ। তবে কেউ যদি মজার ছলে ভুয়ো অভিযোগ করেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেও কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ও শংকরপুরের অলিতে-গলিতে এই নম্বর সম্বলিত বড় বড় ব্যানার ও লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। বছরের শেষে সৈকত ভ্রমণের আনন্দ যাতে ফিকে না হয়, পুলিশের এই ‘ডিজিটাল কবচ’ এখন পর্যটকদের সবচেয়ে বড় ভরসা।