নির্বাচন ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রক্তাক্ত বাংলাদেশ, ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই রক্তাক্ত হলো বাংলাদেশ। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন এবং একই দিনে জুলাই সনদের উপর গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই ঘোষণার পরই জনবহুল এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। এই ঘটনায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

হামলা ও চিকিৎসা:

সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।

গুলির ধরন: পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে হামলাকারীদের পরিচয় এখনও অজ্ঞাত।

চিকিৎসা: গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান: হামলার সময় হাদির পিছনের রিকশায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মহম্মদ রাফি জানান, জুম্মার নমাজ শেষে হাইকোর্টের দিকে আসার সময় বিজয়নগর আসতেই মোটরসাইকেলে করে দু’জন এসে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।

প্রশাসন ও ইউনূসের উদ্বেগ:

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলি জানিয়েছেন, হামলাকারীদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চলছে এবং দুষ্কৃতীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে, এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে এই হামলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রেক্ষাপট:

বৃহস্পতিবারই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ত্রয়োদশ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। এই নির্বাচন দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ:

১. আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতি: এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হচ্ছে না, কারণ তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ২. গণভোট: বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একত্রে জুলাই সনদের উপর গণভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

নির্বাচন ঘোষণার পরপরই এই রাজনৈতিক অশান্তি এবং রক্তাক্ত পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করল।