বালির গর্তে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু, অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের, কী নোটিশ জারি করা হলো কাকদ্বীপে

বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে কাকদ্বীপে বালির গর্তে পড়ে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অবশেষে টনক নড়ল প্রশাসনের। স্থানীয়দের দাবি মেনে, কাকদ্বীপের বিএল অ্যান্ড এলআরও অফিসের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের সতর্ক করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য প্রশাসনের কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।

নোটিশে কী লেখা হয়েছে?
জারি করা নোটিশে স্পষ্টভাবে লেখা হয়েছে, “এতদ্বারা সকল এলাকাবাসীকে জানানো যাইতেছে বালি খাদান সম্পর্কিত কাজকর্ম চলাকালীন বা কাজ চলাকালীন আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের সাবধানে রাখবেন।”

এই নোটিশ পাওয়ার পর কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানিয়েছেন, বালির গর্তগুলোর গভীরতা সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথ ঘাঁটা বলেন, “সাঁতার জানা থাকলেও সমস্যা হতে পারে। কোথায় গর্ত আছে, তা যদি জানা না যায়, তাহলে বিপদ অনিবার্য।”

আগে নোটিশ জারি হলে বাঁচত দুটি প্রাণ?
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এমন নোটিশ যদি আগে দেওয়া থাকত, তাহলে হয়তো ১১ বছরের সুদীপ্ত সিংহ এবং ৭ বছরের ফারুক খান-এর মতো নিষ্পাপ দুটি প্রাণ অকালে ঝরে যেত না। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, এই মর্মান্তিক ভুল থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এমন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই নোটিশের মাধ্যমে প্রশাসন কার্যত বালির খাদানের বিপদ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে চেয়েছে, যা দেরিতে হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।