ট্রাম্প কি গুরুতর অসুস্থ, হাতে কালো দাগ, মুখে মেকআপ, মৃত্যু গুজব নিয়ে যা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

প্রায় এক সপ্তাহ লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পর অবশেষে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সামনে এলেন ৭৯ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অনুপস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে যে অসুস্থতা ও মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল, তা তিনি হেসে উড়িয়ে দিলেও বিতর্ক থামছে না। বরং তার সাংবাদিক বৈঠকের প্রতিটি ফ্রেম ধরে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তার হাতের একটি রহস্যময় কালো দাগ নিয়ে।
কেন ছড়াল এই গুজব?
গত মঙ্গলবার থেকে ট্রাম্পকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তার এই দীর্ঘ অনুপস্থিতিই জল্পনার জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিশেষ করে ইলন মাস্কের ‘এক্স’-এ (#Trumpdead) হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং হতে থাকে। এর মাঝেই ট্রাম্পের একটি ফোলা মুখের ছবি ভাইরাল হয়, যা তার অসুস্থতার গুজবে নতুন মাত্রা যোগ করে।
আজকের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্পকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তিনি এই গুজব সম্পর্কে কিছুই শোনেননি, কারণ তিনি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তবে তার এই মন্তব্যের পরেও জল্পনা থামেনি।
রহস্যময় কালো দাগ এবং মেকআপ
ট্রাম্পের হাতে একটি কালো গোল দাগ নিয়ে জল্পনা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। এই দাগ কেন বারবার তার হাতে দেখা যায় এবং কেন মেকআপ দিয়ে তা ঢাকা হয়, এই প্রশ্ন ওঠে। গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, বারবার করমর্দন করার কারণে সেখানে একটি স্থায়ী দাগ তৈরি হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত চিকিৎসক যখন জানান যে তিনি অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করেন, তখন তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
এছাড়াও, গলফ খেলার পর তোলা একটি ছবিতে ট্রাম্পের ফোলা মুখ দেখা যায়, যা নিয়েও বিতর্ক হয়। আজকের সাংবাদিক বৈঠকে তার অতিরিক্ত মেকআপ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্টের মন্তব্য এবং মেলানিয়ার রহস্যময় উপস্থিতি
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স ‘ইউএসএ টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “যদি কোনো অঘটন ঘটে, তাহলে তিনি দেশের সেবায় সবকিছু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত।” এই মন্তব্যের শেষ অংশটুকু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
অন্যদিকে, ট্রাম্প-পত্নী মেলানিয়া ট্রাম্পের একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে তাকে কালো টুপি পরে ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে দেখা যায়। এই হাসপাতালে শুধুমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টদেরই চিকিৎসা হয়। মেলানিয়া কেন সেখানে গিয়েছিলেন, তার কোনো ব্যাখ্যা হোয়াইট হাউস দেয়নি, যা জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
এই সমস্ত গুজবের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, “আমাকে দুদিন দেখতে পাওয়া না গেলে এত কথা হয়। অথচ বাইডেন মাসের পর মাস কিছুই করেনি।”