“চীনও সন্ত্রাসবাদের শিকার…”- এর চেয়ে লজ্জাজনক বক্তব্য আর হতে পারে না, তীব্র নিন্দা কংগ্রেসের
September 1, 2025

সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর বৈঠককে কেন্দ্র করে কংগ্রেস কড়া আক্রমণ শুরু করেছে। কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এবং জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন যে মোদী চীনের কাছে মাথা নত করেছেন এবং দেশের স্বার্থের সঙ্গে আপস করেছেন।
কংগ্রেসের মূল অভিযোগ
- সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে চীনের সঙ্গে সুর মেলানো: কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, “চীনও সন্ত্রাসবাদে ভুগছে এবং আমরা একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব”— মোদীর এই বক্তব্য ‘লজ্জাজনক’। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে চীন আগে পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করত, সেই চীন আজ হঠাৎ মোদীর বন্ধু হয়ে গেল কীভাবে?
- অপারেশন সিঁদুরের নীরবতা: কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ (আগের টুইটার) পোস্ট করে বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সময় চীন ও পাকিস্তানের গোপন বোঝাপড়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী শি জিনপিংয়ের কাছে একটি শব্দও বলেননি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা যেখানে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেখানে মোদীর এই নীরবতাকে ‘দেশবিরোধী’ বলে আখ্যা দেন জয়রাম।
- ‘৫৬ ইঞ্চির বুকের’ সমালোচনা: জয়রাম রমেশ মোদীকে কটাক্ষ করে বলেন, “স্বঘোষিত ৫৬ ইঞ্চির বুকের নেতার মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, মোদী চীনকে ক্লিনচিট দিয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুন দেশের স্বার্থের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। জয়রামের মতে, আজ তিয়ানজিনে তার আচরণ ‘কাপুরুষোচিত আত্মসমর্পণ’।
কেন এই রাজনৈতিক বিতর্ক?
তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে মোদী এবং শি জিনপিংয়ের পাশাপাশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যায়। এই তিন নেতার উষ্ণ করমর্দন এবং আলাপচারিতার ছবি কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে এই সময় যখন আমেরিকা ও চীনের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত উত্তেজনা চলছে, তখন মোদীর এই বৈঠককে কংগ্রেস ‘জাতীয়তাবিরোধী’ বলে আক্রমণ করেছে।