কাদের জন্য কোন হেডফোন ভালো? জেনেনিন কি বলছে বিশেষজ্ঞরা?

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইয়ারবাড বা ওয়্যারলেস হেডফোন হয়ে উঠেছে নিত্যদিনের সঙ্গী। গান শোনা, ফোন কল, কিংবা ভিডিও কনফারেন্স-সব ক্ষেত্রেই ইয়ারবাড ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তারযুক্ত হেডফোনের কদরও কিন্তু এখনো কমেনি।
কিন্তু আপনি কোন হেডফোন ব্যবহার করবেন, তারযুক্ত নাকি তার বিহীন? আপনার জন্য কোন হেডফোনটি ভালো হবে, কীভাবে বুঝবেন? অনেকেই বলবেন, ব্লুটুথই ভালো। কারণ এই হেডফোনে তারের ঝামেলা কম। তার ছিঁড়ে বা জড়িয়ে হেডফোন খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রায় নেই। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কোন হেডফোন উপযুক্ত-
তার ছাড়া হেডফোন ৩ ধরনের হয়। ব্লুটুথ হেডফোন, ওয়াইফাই হেডফোন বা রেডিও ফ্রিক্যোয়েন্সি হেডফোন ও ইনফ্রারেড হেডফোন। এর মধ্যে আমরা সাধারণত ব্লুটুথ হেডফোনের ব্যবহারই দেখে থাকি।
তার যুক্ত হেডফোনে ঝামেলা কম। চার্জ দিতে হয় না। দামেও অনেকটা কম। এছাড়া, তার যুক্ত হেডফোনে অডিও সরাসরি ট্রান্সমিশন হয়। আর অ্যানালগ কানেকশনের মধ্যে দিয়ে এই কাজ হয় বলেই অডিও কোয়ালিটি এই হেডফোনে দুর্ধর্ষ হয়।
অন্যদিকে ব্লুটুথ হেডফোনের ক্ষেত্রে কিছু কোড ব্যবহার করেন প্রযুক্তিবিদরা। সেই কারণেই এর অডিও কোয়ালিটি তার যুক্ত হেডফোনের তুলনায় খুব ভালো হয় না। ফলে যারা ভিডিও বা অডিও এডিটিংয়ের মতো কাজ করেন, তারা এখনো তারযুক্ত হেডফোনই ব্যবহার করেন।
ব্লুটুথ হেডফোন আর তারযুক্ত হেডফোন-দুয়েরই নিজস্ব সুবিধা ও ব্যবহার উপযোগিতা আছে। আসুন কাদের জন্য কোনটা ভালো হতে পারে জেনে নেই-
ব্লুটুথ হেডফোন যাদের জন্য ভালো
>> যারা মোবাইল বা ল্যাপটপে গান শোনেন, মুভি দেখেন
>> যারা ট্রেন/বাসে বা হাঁটতে হাঁটতে হেডফোন ব্যবহার করেন
>> যারা ঝামেলাহীন ব্যবহার চান, তার ছাড়া
>> অফিস মিটিং/কল যারা বেশি করেন
>> জিম বা দৌড়ানোর সময় গান শুনেন
তারযুক্ত হেডফোন যাদের জন্য ভালো
>> যারা গেম খেলেন
>> যারা স্টুডিও বা পেশাগতভাবে অডিও এডিটিং করেন
>> যারা চাইছেন কম দামে ভালো সাউন্ড
>> যারা ফোনে বা কম্পিউটারে লেটেন্সি ছাড়া অডিও চান