৩ দিন ধরে যৌন নির্যাতনের ৭ বছরের নাবালিকা, পড়শির কীর্তি দেখে ফেলল পাড়ার বাচ্চারা, অতঃপর…

একটি অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনায়, সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে দীর্ঘ তিন দিন ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এই পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। নৃশংসতার পর শিশুটিকে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়, যার ফলে সে কাউকে কিছু বলতে সাহস করেনি।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন পাড়ার কয়েকজন অন্য শিশু অভিযুক্তের বাড়িতে কিছু অস্বাভাবিক দৃশ্য দেখে ফেলে এবং নির্যাতিতা শিশুটির পরিবারকে জানায়। এরপর পরিবারের লোকজন শিশুটির সাথে কথা বললে সে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার কথা খুলে বলে।
বৃহস্পতিবার রাতেই শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তার প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, গত তিন দিন ধরে প্রায় প্রতিদিনই দুপুরে প্রৌঢ়টি শিশুটিকে নিজের বাড়িতে ডাকত। বাড়িতে সে একা থাকত। অভিযোগ, সেখানে শিশুটির মুখ গামছা দিয়ে চেপে ধরে যৌন নির্যাতন করা হতো। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিশুটিকে শাসাত যে সে যদি কাউকে কিছু জানায় তবে তাকে মেরে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হবে। এই চরম ভয়ের কারণেই শিশুটি পরিবারকে কিছু জানায়নি।
এক আত্মীয়ের কথায়, “ভয়ে আমাদের কিচ্ছু বলেনি। আমরা প্রথমে তাই জানতাম না। পাড়ার বাচ্চাগুলো বলার পরই সব জানা যায়। তখন মেয়ে বলে, আমার সাথে নোংরা কাজ করেছে।”
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সুশান্তবরণ দত্ত জানিয়েছেন, একটি শিশুকন্যাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে এবং রিপোর্ট আসার পরেই বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।