সীমান্তের ওপারে চিনা ঘাঁটি! উত্তরবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ বর্ডারে বিএসএফ প্রধানের আচমকা সফরে চরম সতর্কতা

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাথে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বর্তমানে এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে ওপার বাংলায় ভারত-বিরোধিতা তুঙ্গে ওঠায় সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নয়াদিল্লি। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সংবেদনশীল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আচমকা সফরে এলেন বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) প্রভীন কুমার। তাঁর এই সফর স্পষ্ট করে দিল যে, সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কোনোভাবেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মুকেশ ত্যাগীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন ডিজি। এই সফরের নেপথ্যে রয়েছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ভারতের সীমান্তের মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে লালমনিরহাটে বাংলাদেশের জন্য বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করে দিচ্ছে চিন। পাশাপাশি ঠাকুরগাঁওয়ের পরিত্যক্ত বায়ুসেনা ঘাঁটিও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। বিএসএফ-এর গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, সীমান্ত বরাবর বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI) নিজেদের পরিকাঠামো বৃদ্ধি করছে এবং মৌলবাদীদের মাধ্যমে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে।
ডিজি প্রভীন কুমার উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজির কাছ থেকে অনুপ্রবেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সীমান্তের কাঁটাবিহীন এলাকাগুলো নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়েছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর ও জলপাইগুড়ি জেলার মতো এলাকা যেখানে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি, সেখানে নজরদারি ও জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ‘চিকেন নেক’ করিডোর (শিলিগুড়ি করিডোর) নিয়ে বিশেষ উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
ডিজি বিএসএফ জওয়ান ও শীর্ষ কর্তাদের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। সীমান্তে পরিকাঠামোর ত্রুটি সংশোধন করে দ্রুত নজরদারি বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা ১৩০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সীমান্তে এখন থেকে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করবে বিএসএফ।