আরাবল্লিতে খননকার্যে জারি দিল্লির ‘ফতোয়া’! মরুভূমি রুখতে পর্বতমালা রক্ষায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ কেন্দ্রের

ভারতের অন্যতম প্রাচীন পর্বতমালা আরাবল্লীকে বাঁচাতে এবার নজিরবিহীন কঠোর পদক্ষেপ নিল মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দিল্লি থেকে গুজরাত পর্যন্ত বিস্তৃত আরাবল্লী পর্বতমালায় আর কোনও নতুন খনির ইজারা (Lease) দেওয়া যাবে না। অবৈধ খনন এবং অনিয়ন্ত্রিত খনিজ উত্তোলন বন্ধ করে পর্বতমালার ভূতাত্ত্বিক অখণ্ডতা রক্ষা করাই এই নির্দেশের মূল লক্ষ্য।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও গুজরাত সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে নতুন কোনও মাইনিং লিজে ছাড়পত্র না দেওয়া হয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, আরাবল্লী শুধুমাত্র একটি পর্বতমালা নয়, এটি ভারতের বাস্তুতন্ত্রের রক্ষাকবচ। মরুভূমির বিস্তার রোধ করা, ভূগর্ভস্থ জলস্তর ধরে রাখা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে এই পাহাড়ের ভূমিকা অপরিসীম। তাই একে রক্ষা করা জাতীয় স্বার্থে একান্ত জরুরি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন (ICFRE)-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন এলাকাগুলি চিহ্নিত করতে, যেখানে খনিজ উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত।
তবে যে খনিগুলি বর্তমানে চালু রয়েছে, সেগুলির ক্ষেত্রেও কেন্দ্র বেশ কিছু কড়া নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে সুপ্রিম কোর্টের সমস্ত নির্দেশিকা এবং পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থা অক্ষরে অক্ষরে মানা হচ্ছে। খনিজ উত্তোলন পদ্ধতিকে অতিরিক্ত বিধিনিষেধের আওতায় এনে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রকের দাবি, স্থানীয় ভূপ্রকৃতি ও বাস্তুতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষার জন্যই এই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।