বসিরহাটে ‘গরীবের হাট’-এর জাদুতে স্বস্তি, বাজারদরের চেয়ে কম দামে মিলছে নিত্যপণ্য, খাসির মাংসের দামে বাম্পার ছাড়

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে ঘোষ বাড়ির উদ্যোগে মাত্র দু’বছর আগে শুরু হওয়া ‘গরীবের হাট’ আজ স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে এক বড় ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। এই হাটে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত সামগ্রীই বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে পাওয়া যায়, যা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে স্বস্তি এনেছে।

বিশেষ আকর্ষণ: খাসির মাংসের দামে বিরাট ছাড়

এই হাটে চাল, ডাল, তেল, সবজি, কসমেটিক্স, পোশাক থেকে শুরু করে মাছ-মাংস—সবই সুলভে পাওয়া যায়। হাটের বিশেষ আকর্ষণ হলো রবিবারের খাসির মাংস, যা বাজারে সাধারণত ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, কিন্তু এখানে তা মাত্র ৫৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। সকলের সামনে মাংস কাটার কারণে মান নিয়েও কোনো সন্দেহ থাকে না।

আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পরিবর্তনের চিত্র

বসিরহাট ও টাকি শহরের মাঝামাঝি অবস্থিত এই হাটের কারণে স্থানীয় অর্থনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে:

মধ্যমপুর স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে।

এলাকায় টোটো চালকদের কর্মসংস্থান হয়েছে।

আশপাশের অন্যান্য বাজারগুলিতেও নিত্যপণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে স্থানীয়দের দাবি।

বর্তমানে শুধু গরীব নয়, মধ্যবিত্ত ও সচ্ছল মানুষও এখানে বাজার করতে আসছেন।

কম দামের রহস্য ও সামাজিক পরিষেবা

ঘোষ বাড়ির সদস্য প্রবীর ঘোষ জানান, কম দামে বিক্রির মূল কারণ হলো—তাঁরা সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে পণ্য কিনে বিক্রি করেন এবং মাঝখানে কোনো দালাল থাকে না।

এছাড়াও, এই হাটে ক্রেতাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় এবং ওষুধে ২২ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়, যা দরিদ্র মানুষের কাছে বড় স্বস্তি। প্রবীর ঘোষ জানান, ভবিষ্যতে এই হাটের পরিসর আরও বাড়ানো এবং নতুন সামাজিক পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।