ওড়িশার কেওনঝার জেলার একটি সরকারি স্কুলে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী অসাবধানতাবশত রাতভর স্কুলের ভেতরে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকে ছিল। পরের দিন সকালে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় জানালার গ্রিলে আটকে থাকতে দেখা যায় এবং উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পর অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা চলে গেলেও ওই মেয়েটি ক্লাসের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েছিল। স্কুলের দারোয়ান অসতর্কতার সঙ্গে বাইরে থেকে প্রধান গেটে তালা দিয়ে দেন। ফলে মেয়েটি রাতভর স্কুলের ভেতরে আটকা পড়ে থাকে।

পালাতে গিয়ে শিশুটি একটি জানালার লোহার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করে। সেই সময় তার মাথা গ্রিলে আটকে যায় এবং সে গুরুতর আহত হয়।

পরিবার ও গ্রামবাসীদের ক্ষোভ

মেয়েটি রাতে বাড়ি না ফেরায় তার পরিবার ও গ্রামবাসীরা সারা রাত ধরে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা তাকে ওই অবস্থায় দেখে উদ্ধারকারী দলকে খবর দেয়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের চরম গাফিলতির জন্য কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

স্কুলের শিক্ষিকা সঞ্জিতা জানিয়েছেন, সাধারণত রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মী ক্লাসের দরজা বন্ধ করেন। কিন্তু সেদিন বৃষ্টির কারণে তিনি আসেননি। তাই সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ক্লাসরুম বন্ধ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারা নিচের বেঞ্চে ঘুমিয়ে থাকা মেয়েটিকে দেখতে পায়নি।