
সাময়িক বিরতির পর ফের সক্রিয় বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে ফের বাড়ছে বৃষ্টির দাপট। কখনও হালকা, কখনও মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে চলতি সপ্তাহজুড়ে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে, যা বৃষ্টির মাত্রা বাড়াবে বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শহরে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে প্রায় ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রির আশপাশে।
রথযাত্রাতেও থাকতে পারে বৃষ্টির হানা
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, “দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে সমস্ত জেলাতেই এই সপ্তাহজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে।”
বিশেষত, শুক্রবার ২৭ জুন রথযাত্রার দিন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে।
বৃষ্টিতে ভিজবে কোন কোন জেলা?
আজ (মঙ্গলবার): দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, হাওড়া ও হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে জারি হয়েছে সতর্কতা।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার: এই জেলাগুলিতেই ভারী বৃষ্টি বজায় থাকবে। সঙ্গে থাকতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
শুক্রবার: ফের একবার বৃষ্টির দাপট বাড়বে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও বীরভূমে।
শনিবার: উপরের বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা ছাড়াও কলকাতার কিছু অঞ্চলেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের বৃষ্টির হাল
আজ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার: উত্তরবঙ্গে বড় কোনও বৃষ্টির সতর্কতা নেই, তবে এক-আধ পশলা হালকা বৃষ্টি চলবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ।
শুক্রবার ও শনিবার: দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সঙ্গে থাকতে পারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
কলকাতার আবহাওয়ার আপডেট (সোমবার)
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা: ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি কম)
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা: ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি)
আর্দ্রতার পরিমাণ: সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৫ শতাংশ