
“মোথাবাড়ি, সন্দেশখালি, ধুলিয়ান বা সামশেরগঞ্জের মতো এখানেও আদালতের অনুমতি নিয়েই যাব” – রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পরই কলকাতা হাইকোর্ট মহেশতলায় তাঁর সফরের অনুমতি দিল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য শর্তসাপেক্ষে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
বিরোধী দলনেতার আবেদনে সাড়া দিলেও হাইকোর্ট কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শুভেন্দু অধিকারী একজন বিধায়কের সঙ্গে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার ওই ঘটনাস্থলে যেতে পারবেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে তিনি ওই স্থানে যেতে পারবেন, তবে তার ২৪ ঘণ্টা আগে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের পুলিশ সুপার এবং রবীন্দ্র নগর থানার অফিসার ইনচার্জকে জানাতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
এদিনের নির্দেশে আদালত আরও জানিয়েছে যে, শুভেন্দু ওই স্থানে গেলেও কোনো রকম র্যালি করতে পারবেন না। পুলিশকে সব রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে আদালত। হাইকোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, মহেশতলায় শুভেন্দু অধিকারী সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, তবে জনগণের উদ্দেশে এমন কোনো রকম বক্তৃতা রাখতে বা সভা করতে পারবেন না যাতে শান্তি বিঘ্নিত হয়।
পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, শুভেন্দুর পরিদর্শনের সময় যদি কোনো রকম অঘটন ঘটে, তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা। থানার থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই চলেছিল বেপরোয়া ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশও আক্রান্ত হয়েছিল। ঘটনার দিনই ডিজি-র সঙ্গে দেখা করতে গিয়েও ফিরে এসেছিলেন শুভেন্দু। এর আঁচ বিধানসভাতেও পৌঁছেছিল। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অবশেষে সেই অনুমতি মিলেছে। এই অনুমতিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।