আইফোনের ‘আই’ এর অর্থ কি জানেন? জেনেনিন কী এর মানে?

স্মার্টফোনের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আইফোন অন্যতম। তবে কখনো কি ভেবে দেখেছেন, আইফোনের নামের শুরুতে যে ‘i’ অক্ষরটি রয়েছে, তার মানে কী? অ্যাপলের বিভিন্ন পণ্যের নামের সঙ্গে জুড়ে থাকা এই অক্ষরটির পেছনে একটি বিশেষ ইতিহাস আছে।
‘i’ এর রহস্য উদ্ঘাটন:
অ্যাপল তাদের প্রথম আইম্যাক (iMac) কম্পিউটারে এই ‘i’ ব্যবহার করে। তখন সংস্থাটি এর একাধিক অর্থ ব্যাখ্যা করেছিল। ‘i’ বলতে তারা মূলত পাঁচটি ভিন্ন অর্থকে নির্দেশ করেছিল:
- ইন্টারনেট (Internet): এর মাধ্যমে ডিভাইসটি যে ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার জন্য তৈরি, তা বোঝানো হয়েছিল।
- ব্যক্তিগত (Individual): এটি দিয়ে ব্যক্তিগত বা একক ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
- নির্দেশ (Instruct): শেখা এবং শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে নির্দেশনামূলক সহায়তার প্রতীক।
- তথ্য (Inform): অর্থপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করার উদ্দেশ্যকে বোঝায়।
- অনুপ্রেরণা (Inspire): ব্যবহারকারীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করার লক্ষ্য।
এই অর্থগুলো অ্যাপলের সেই দর্শনকে তুলে ধরে, যেখানে তারা এমন একটি গ্যাজেট তৈরি করতে চেয়েছিল, যা কেবল একটি সাধারণ যন্ত্র নয়, বরং ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী একটি সহায়ক ও অনুপ্রেরণাদায়ক মাধ্যম।
আইফোন থেকে আইওয়াচ, সবখানেই ‘i’
পরবর্তীকালে, যখন অ্যাপল আইফোন (iPhone), আইপ্যাড (iPad), আইপড (iPod) এবং আইওয়াচ (iWatch)-এর মতো পণ্য বাজারে আনে, তখনও এই ‘i’-এর ব্যবহার চলতে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে এই ডিভাইসগুলো কেবল ইন্টারনেট-সক্ষমই নয়, বরং ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
বর্তমানে, ‘i’ অক্ষরটি অ্যাপলের ব্র্যান্ড পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। যখনই মানুষ একটি আইফোন দেখে, তখনই তারা এটিকে অ্যাপলের একটি পণ্য হিসেবে সহজেই চিনতে পারে। তাই বলা যায়, ‘i’ শুধু ইন্টারনেট বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের প্রতীক নয়, বরং এটি অ্যাপলের উচ্চমানের এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির পরিচায়ক।