চুল সবারই বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাদের বয়সের আগেই চুল পেকে যায়। বংশগত কারণে কিংবা পুষ্টির অভাবে অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, কপার, মিনারেল, জিঙ্ক ও আয়রনের অভাবে এ সমস্যা দেখা দেয়।
অনেকেই পাকা চুল কালো করতে বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করেন। যা চুলের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক হেয়ারডাই ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়েও এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আর এ কাজটি করার জন্য আপনার রান্নাঘরে একটি উপাদানই যথেষ্ট। আর সে উপাদানটি হলো আলুর খোসা। রান্নার পর যে আলুর খোসা পরে থাকে, সেটা দিয়েই তৈরি হবে এ প্রাকৃতিক ‘ডাই’। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এই প্রাকৃতিক ‘ডাই’ তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি-
যা যা লাগবে
পাঁচটি বড় আলুর খোসা, সসপ্যান, ঝাঁঝরি, পুরনো শ্যাম্পুর বোতল, চুলে ডাই দেবার ব্রাশ, ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং তোয়ালা।
তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি
সসপ্যানের ভেতরে এক কাপ আলুর খোসা নিন। এতে যোগ করুন দুই কাপ জল এবং সসপ্যান ঢেকে দিন। জ্বাল বাড়িয়ে দিয়ে জল ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত জল তে আলুর খোসাগুলো ২০ থেকে ৩০ মিনিট রান্না করুন। এবার নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে জল টুকু ঝাঁঝরি দিয়ে আলাদা একটি বোলে ঢেলে নিন। খোসা ফেলে দিন। এ জল টুকু ঠান্ডা হলে একটা পুরনো, পরিষ্কার শ্যাম্পুর বোতলে ঢেলে নিন।
এরপর ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনিং করে নিন। তারপর কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলুন। এবার চুল ধুয়ে নিন আলুর খোসার ডাইটি দিয়ে। এটা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন না। চুলে তোয়ালে পেঁচিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর চুল শুকিয়ে ফেলুন।
এভাবে আলুর খোসার ডাই দিয়ে প্রতিদিন চুল ধোয়ার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন চুলে কন্ডিশনারও ব্যবহার করবেন কারণ পাকা চুল বেশি নাজুক হয়ে থাকে। তা করতে না পারলে সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন এ ডাই দিয়ে চুল ধুতে হবে।
যদি আলুর গন্ধ বেশি বাজে লাগে তবে এক ফোঁটা সুগন্ধি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে দিতে পারেন এর মাঝে। রাসায়নিক ডাইয়ের মতো একদিনে পাকা চুল দূর হবে না ঠিক। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ বা মাসখানেক নিয়মিত ব্যবহারে পাকা চুল আর দেখা যাবে না।