সতর্কবার্তা! ত্বকের এই সমস্যা গুলি থাকলে কখনই অবহেলা করবেন না, এড়ালেই বিপদ

ত্বকে মাঝে মধ্যেই ব্রণ, ফুসকুড়ি কিংবা লাল হয়ে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া বোধ হয় সবারই। আবার অনেকের ত্বকেই দেখা দেয় নানা ধরনের দাগ, মোল কিংবা ক্ষত। এসব সমস্যাকে কখনো সাধারণভাবে নেওয়া উচিত নয়।

হঠাৎ করেই যদি ত্বকে কোনো ধরনের অস্বাভাবিক দাগ, ক্ষত, চুলকানি কিংবা ফুসকুড়ি দেখা দেয় ও তা কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক না হয় তাহলে অবহেলা করবেন না। কারণ ত্বকের এসব সামান্য সমস্যা গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

>> দাদ ত্বকের একটি গুরুতর সমস্যা। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে গোল ফুসকুড়ির মতো হয়। এর থেকে চুলকানি ও ফুসকুড়ি আরও বাড়তে থাকে। ফলে আক্রান্ত স্থানে জ্বালাপোড়া হয়। দাদ শরীরের যে কোনো স্থানেই হতে পারে।

এই সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় সারিয়ে না তুললে মাস, বছর কিংবা আজীবন স্থায়ী হতে পারে। এই চর্মরোগের চিকিৎসায় ত্বকের জন্য ক্রিম, অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, স্টেরয়েড, এমনকি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টসও দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

>> সোরিয়াসিস খুবই গুরুতর এক চর্মরোগ। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানের চামড়া ত্বক পুরু হয়ে ওঠে। সোরিয়াসিস সাধারণত মাথার ত্বক, কনুই, হাঁটু ও পিঠের নীচের অংশে বেশি দেখা যায়।

একবার এই সমস্যা দেখা দিলে তা সারিয়ে তোলা মুশকিল। কারণ সোরিয়াসিস একেবারে সারানো যায় না। এটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। এর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞরা ক্রিম, মলম, হালকা থেরাপি, ওরাল ওষুধ, ইনজেকশন বা আইভি’র পরামর্শ দেন।

>> ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে অন্যতম এক গুরুতর ব্যাধি হলো অ্যাকজিমা। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়, লাল, শুষ্ক ও চুলকানির সৃষ্টি করে। চিকিৎকরা নিশ্চিত নন যে কী কারণে অ্যাকজিমা হয়ে থাকে।

তবে তারা ধারণা করেন, স্ট্রেস, অ্যালার্জেন কিংবা জলবায়ুর পরিবর্তনে এটি হতে পারে। কনুই, হাত ও ত্বকের ভাঁজে ভাঁজে অ্যাকজিমা দেখা যায়। বেশ কিছু ওষুধ অ্যাকজিমার চিকিৎসা করে।

>> ব্রণের সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। বিভিন্ন কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া ও হরমোনের কারণেই ব্রণ হয়ে থাকে। মুখ, বুকে ও পিঠে এক ধরনের ব্রণ দেখা যায়, যা ব্যাকটেরিয়া থেকে সৃষ্ট।

এক্ষেত্রে ব্রণ থাকে পুঁজে ভরা। যা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন ব্রণ নিয়ন্ত্রণে তৈলাক্ত স্থানগুলো পরিষ্কার রাখুন। তবে নখ লাগানো থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে সংক্রমণ ও দাগ হতে পারে।

>> ত্বকে তিল থাকা স্বাভাবিক হলেও মোল বা আঁচিল কিন্তু বিপদ ডেকে আনে। কারণ মোল ক্যানসারেরও লক্ষণ হতে পারে। আঁচিল সাধারণত বাদামি বা কালো রঙের হয়।

এটি শরীরের যে কোনো জায়গায় হতে পারে। বেশিরভাগের শরীরেই ২০ বছরের আগেই মোল বা আঁচিল দেখা দেয়। যা সময়ের সাথে সাথে নিজের আকারও পরিবর্তন করে।

সমতল থেকে উঁচু হয়ে যেতে পারে এগুলো। রংও পরিবর্তন করতে পারে। এমনটি আপনার ত্বকেও দেখা দিলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন ও মোলটি পরীক্ষা করুন।

বিশেষ করে এর থেকে যন্ত্রণা, চুলকানি, রঙে পরিবর্তন কিংবা রক্তপাত দেখার কারণ হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ। তাই ত্বকের এসব সমস্যা সাধারণ ভেবে কখনো ভুল করবেন না।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy