দাম্পত্য সম্পর্ক সতেজ রাখতে অক্সিজেনের মতো ৪টি সহজ উপায়

সঙ্গীর ভালোবাসা পেতে কে না চায়! এজন্য  সব দম্পতিই তাদের বিয়ের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের খোঁজ করেন। ভালো থাকার চেষ্টা সবার মধ্যেই থাকে। তাদের জন্য কিছু পরামর্শ :

বোঝাপড়া প্রয়োজন

বোঝাপড়ায়  ঘাটতি থাকলে অনাকাঙিক্ষত ঝগড়াঝাটি বেড়ে যায়, তখন দম্পতিরা সাধারণ বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। কাজ কিংবা কথা নয়, এর পেছনের উদ্দেশ্য দেখুন। সব সময় মনে রাখুন এবং ধরে নিন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আঘাত করার মতো কিছু করবে না। এতে হতাশা, দোষারোপ এবং অপরাধবোধ অনেকাংশে কমে আসবে। সঙ্গীর যে আচরণ আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, সেটি হয়তো তিনি বুঝে করেননি। এটা বোঝার চেষ্টা করুন। সব কাজ ইচ্ছাকৃত নয় তা জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথা নিয়ে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে না।

অতিরিক্ত আর্থিক চিন্তা বাদ দিন

টাকা নিয়ে ঝগড়া করবেন না।  আর্থিক সামর্থে্যর দিকে খেয়াল রেখে চাহিদা ঠিক করুন। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থ। দম্পতিরা একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার বদলে দুজন মিলে সমাধান খুঁজতে পারেন। এতে দুজনেরই কিছু কিছু ছাড় দিতে হতে পারে। এতে দিনশেষে সম্পর্ক সতেজ আর সজীব থাকবে।

একান্ত সময় উপলব্ধি করুন

ভালো অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। আর বলুন যে, তোমাকে পেয়েছি বলেই আমি সুখী। খারাপ এবং ভালো মুহূর্তগুলোকে সমানভাবে উপলব্ধি করতে শিখুন। এটি বুঝতে সাহায্য করে যে বিয়ের সম্পর্ক সফল হতে উভয় পক্ষের সমর্থন ও পরিশ্রম প্রয়োজন।

অনুভূতির ভুল ব্যাখ্যা করে থাকলে স্যরি বলুন

অভিমান শক্তিশালী এক অনুভূতি। অভিমানকে রাগ হিসেবে বিবেচনা করা দাম্পত্য সম্পর্কে ক্রাইমের মতো। স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানো উচিত। সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। এতে ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে।

দিন শেষে ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে আলতো করে চুমু দিতে ভুলবেন না যেন!

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy