লন্ডনের পার্টিতে ‘ভারতের বড় পলাতক’ ললিত-মালিয়া! ভাইরাল ভিডিও দেখে অগ্নিশর্মা দিল্লি

লন্ডনের এক নৈশপার্টিতে হাসিমুখে ধরা দিলেন ভারতের কোটি কোটি টাকা তছরুপ করে পালানো দুই কুখ্যাত মুখ—ললিত মোদী ও বিজয় মালিয়া। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ললিত মোদীকে সগর্বে নিজেকে ‘ভারতের সবচেয়ে বড় পলাতক’ বলে পরিচয় দিতে শোনা যাচ্ছে। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে।

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এই বিষয়ে ভারতের অনড় অবস্থানের কথা সাফ জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, “পলাতক অপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ভারত সরকার সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা একাধিক দেশের সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আমাদের এই প্রচেষ্টা থামবে না।” ভারত যে ললিত মোদী ও বিজয় মালিয়ার মতো ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করতে বদ্ধপরিকর, তা এদিন দিল্লির কঠোর বার্তায় স্পষ্ট হয়েছে।

অন্যদিকে, কানাডায় স্বাস্থ্য পরিষেবার চরম গাফিলতির বলি হয়েছেন এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি। ৪৪ বছর বয়সী প্রশান্ত শ্রীকুমার হৃদরোগের লক্ষণ নিয়ে কানাডার একটি হাসপাতালের ইমার্জেন্সি রুমে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালের করিডোরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে প্রশান্তের পরিবার।

এই ইস্যুতেই এদিন জাস্টিন ট্রুডো সরকারকে কড়া ভাষায় বিঁধেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। রণধীর জয়সোয়াল বলেন, “মৃত ব্যক্তি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তিনি কানাডার নাগরিক ছিলেন। ফলে তাঁর সুরক্ষার এবং সঠিক চিকিৎসার প্রাথমিক দায়িত্ব ছিল কানাডা সরকারের। এই ঘটনার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে কানাডা প্রশাসনের ওপর বর্তায়।” সাম্প্রতিক কালে ভারত ও কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে এই মৃত্যু সংবাদ এবং দিল্লির এই কড়া অবস্থান নতুন করে চাপ বাড়াল ওটাওয়ার ওপর।