ঝাড়খণ্ডের রূপকথার নেপথ্যে মাহি! সৈয়দ মুস্তাক আলি জয়ের ‘গোপন মন্ত্র’ ফাঁস করলেন শাহবাজ নাদিম

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (SMAT) ইতিহাস গড়েছে ঝাড়খণ্ড। ঈশান কিষানের নেতৃত্বে এই প্রথম সিনিয়র স্তরে কোনো বড় টুর্নামেন্ট ঘরে তুলল রাজ্য দলটি। আর এই রূপকথার সাফল্যের আড়ালে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঝাড়খণ্ড রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (JSCA) যুগ্ম সম্পাদক তথা প্রাক্তন স্পিনার শাহবাজ নাদিম এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কীভাবে মাহি পর্দার আড়ালে থেকে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করেছিলেন।
নাদিম জানান, মরসুমের শুরু থেকেই কোচ নিয়োগ থেকে শুরু করে রণকৌশল নির্ধারণ— প্রতিটি পদক্ষেপে ধোনির পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। রতন কুমারকে প্রধান কোচ এবং সানি গুপ্তাকে বোলিং কোচ করার সিদ্ধান্তটি ছিল ধোনিরই পরামর্শ। নাদিমের কথায়, “মাহি প্রতিটি ক্রিকেটারের শক্তি এবং দুর্বলতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেন। এমনকি কোন ক্রিকেটারের পরিসংখ্যান কেমন, তাও তাঁর নখদর্পণে। টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচ তিনি গভীরভাবে অনুসরণ করেছেন এবং ম্যানেজমেন্টকে নিয়মিত ফিডব্যাক দিয়েছেন।”
আগে বাইরের রাজ্যের নামী কোচদের ওপর ভরসা করা হলেও, এবার ধোনির পরামর্শেই স্থানীয় এবং অভিজ্ঞ কোচদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। ধোনি নিজে শেষবার ২০১৫ সালে ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলেছিলেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পরও শিকড়ের টান ভোলেননি তিনি। কোচ রতন কুমারের মতে, “আমরা ভেবেছিলাম প্রথম বছরটা কেবল দল গড়তেই কেটে যাবে, কিন্তু ধোনির নির্দেশনায় খেলোয়াড়রা নিজেদের অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন।”
মাঠের বাইরে সৌরভ তিওয়ারি ও শাহবাজ নাদিমের নেতৃত্বে কোচদের জন্য পারফরম্যান্স ভিত্তিক ইনসেনটিভ চালু করাও ছিল এক বড় বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত। সব মিলিয়ে, ঝাড়খণ্ডের এই ঐতিহাসিক জয় প্রমাণ করে দিল যে, মাঠের মধ্যে না থাকলেও মাহির ‘ক্রিকেট মস্তিস্ক’ এখনও একইভাবে কার্যকর।