চেনার উপায় নেই! দুর্গাপুরের বস্তিতে সান্তা সেজে হাজির খোদ রাজ্যের মন্ত্রী, ঝোলা থেকে বেরোল চকোলেট-খেলনা

বড়দিনের সকালে এক নজিরবিহীন ও মানবিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দুর্গাপুর। মাথায় লাল-সাদা টুপি, পরনে সান্তা ক্লজের পোশাক আর লম্বা সাদা দাড়ি— ঠিক এই বেশেই দুর্গাপুরের তালতলা বস্তিতে হাজির হলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। কোনও জাঁকজমক বা রাজনৈতিক প্রচার ছাড়াই সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে শিশুদের হাতে উপহার তুলে দিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে যখন মন্ত্রীর গাড়ি তালতলা বস্তিতে পৌঁছায়, তখন বোঝার উপায় ছিল না যে সান্তার ছদ্মবেশে খোদ রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী সেখানে উপস্থিত। কাঁধে উপহারের ঝোলা নিয়ে তিনি বস্তির অলিগলিতে ঘুরলেন। কচিকাঁচাদের হাতে তুলে দিলেন চকোলেট, বিস্কুট, খেলনা আর নানা রঙের উপহার। হঠাৎ করে নিজেদের হাতের নাগালে প্রিয় ‘সান্তা দাদু’কে পেয়ে খুশিতে মেতে ওঠে বস্তির ছোট ছোট শিশুরা। তাদের চোখেমুখে তখন বিস্ময় আর অনাবিল আনন্দের ছাপ।

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রদীপ মজুমদার বলেন, “শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্যই আমার এই সাজ। প্রভু যীশু পৃথিবীতে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর জন্মদিন উদযাপনের এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে?” মন্ত্রীর এই মানবিক রূপে আপ্লুত এলাকাবাসীও। স্থানীয় বাসিন্দা শুক্লা ভাণ্ডারী জানান, প্রথমে তাঁরা চিনতেই পারেননি। পরে যখন জানলেন তিনি মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, তখন অবাক হয়ে যান সবাই। উপহার পেয়ে খুদে নীলাক্ষী রায়ের দাবি, “আমাদের প্রিয় সান্তা এসেছিল, অনেক গিফট দিয়েছে।” বড়দিনের উৎসব যে কেবল আড়ম্বরে নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই সার্থকতা, তা আরও একবার প্রমাণ করলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।