‘গাজা নিয়ে কান্না, কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের জন্য চুপ কেন?’ বিধানসভায় বিরোধীদের ধুয়ে দিলেন যোগী

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় এক অগ্নিগর্ভ ভাষণে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দলিত যুবক দীপু দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ড এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর চলমান সহিংসতা নিয়ে বিরোধীদের ‘রহস্যজনক নীরবতা’কে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। যোগী সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, যারা সুদূর গাজার ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে নামেন, তারা কেন ঘরের পাশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন?

বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “বিরোধী দল যেভাবে গাজা বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে সরব হয়, ঠিক সেভাবেই প্রতিবেশী দেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধেও তাদের অবস্থান নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাদের এই নীরবতাই প্রমাণ করে যে, তারা কেবল একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে তোষণ করতেই অভ্যস্ত।” তিনি সাফ জানান, রাজনৈতিক স্বার্থে হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচারকে উপেক্ষা করা এক ধরনের অপরাধ। দীপু দাসের মতো একজন দলিত হিন্দুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিরোধীদের পক্ষ থেকে একটি নিন্দা প্রস্তাব পেশ করার দাবিও জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার তাঁর কঠোর শাসননীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, “আমরা উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিন্দুমাত্র আপস করব না। যারা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করবে বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ‘বুলডোজার’ নীতি তৈরি আছে।” তিনি স্পষ্ট করে দেন যে, অপরাধী যে-ই হোক না কেন, কঠোরতম শাস্তিই তাদের একমাত্র গন্তব্য।

রাজনৈতিক মহলের মতে, যোগীর এই বক্তব্য কেবল একটি সাধারণ ভাষণ নয়, বরং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং স্থানীয় রাজনীতিকে এক সুতোয় গেঁথে বিরোধীদের ‘সিলেক্টিভ প্রতিবাদ’ বা সুবিধাবাদী রাজনীতিকে জনসমক্ষে প্রকাশ করে দেওয়া। একইসঙ্গে, রাজ্যের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা এবং হিন্দু স্বার্থ রক্ষায় তিনি যে অনড়, সেই বার্তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।