‘এ কোন বাংলাদেশ?’ প্রতিবেশী দেশের রক্তাক্ত রূপ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চিরঞ্জিত-পাওলিরা

রক্তাক্ত বাংলাদেশ, বিপন্ন মানবতা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ওপারের অশান্তির আগুন এবার গ্রাস করল শিল্প ও সংস্কৃতিকেও। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভাঙচুর থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ‘ছায়ানট’কে ধূলিসাৎ করার দৃশ্য দেখে স্তব্ধ এপার বাংলার শিল্পীমহল। ভালুকায় এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মেরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার নৃশংস ভাইরাল ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন টলিউডের তারকারা।
‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী এই ধ্বংসলীলা দেখে স্তম্ভিত। তিনি বলেন, “শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটা দেশ চোখের সামনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গেল। জানি না এর শেষ কোথায়!” অন্যদিকে, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, বিনোদনের আঙিনায় যদি মৌলবাদ হানা দেয়, তবে তার চেয়ে দুঃখের আর কিছু হয় না।
পাওলি দাম, যিনি নিয়মিত বাংলাদেশে কাজ করেন, তিনি রীতিমতো শঙ্কিত। তাঁর আশঙ্কা, পরিস্থিতির যা অবনতি হয়েছে, তাতে হয়তো আগামী দিনে দু-দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানই বন্ধ হয়ে যাবে। নাট্যকার অবন্তী চক্রবর্তী থেকে শুরু করে অভিনেত্রী উষসী, বিক্রম ও রূপাঞ্জনা মিত্র— প্রত্যেকেই এই অমানবিক হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন। ধর্মের নামে এই ‘লজ্জাজনক’ হত্যাকাণ্ড ও শিল্পের ওপর আঘাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে একমত টলিপাড়া।