“হিন্দুদের ওপর হামলা ইসলাম সমর্থন করে না!” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে গর্জে উঠলেন ভারতীয় মুসলিমরা।

ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঢাল করে বাংলাদেশে বেছে বেছে হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা, লুণ্ঠন এবং খুনের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিল ভারতের মুসলিম সমাজ। ওপার বাংলায় পরিকল্পিতভাবে ভারত-বিদ্বেষ ছড়ানো এবং হিন্দুদের নিশানা করার বিরুদ্ধে দিল্লির জামা মসজিদ থেকে শুরু করে বাংলার মুসলিম বুদ্ধিজীবীরাও একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
“ইসলামে সংখ্যালঘুর রক্ত ঝরানো হারাম” ভারতীয় মুসলিম নেতাদের মতে, বাংলাদেশে যা ঘটছে তা ইসলামের নাম নিয়ে অধর্ম ছাড়া আর কিছুই নয়। তাঁদের বক্তব্য:
খুন ও জবরদখল: হাদির মৃত্যুর প্রতিশোধের নামে সাধারণ হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া এবং নিরিহ মানুষকে পিটিয়ে মারা জঘন্য অপরাধ।
চরমপন্থীদের হুঁশিয়ারি: ভারতের মুসলিম সমাজের একাংশ স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ যদি মনে করে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে বা হিন্দুদের মারধর করে ভারতকে চোখ রাঙাবে, তবে তার পরিণাম বাংলাদেশের জন্যই ‘বরবাদি’ ডেকে আনবে।
ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি বাংলাদেশে চরমপন্থীদের রোষানলে পড়া শত শত হিন্দু পরিবারকে বাঁচাতে ভারত সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ভারতীয় মুসলিম প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, কেবল কূটনৈতিক বার্তা নয়, ওপার বাংলার হিন্দুদের প্রাণ বাঁচাতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের পুলিশের নিস্ক্রিয়তা এবং ভারত-বিরোধী স্লোগানকে তাঁরা ‘ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ইউনূস প্রশাসনের ব্যর্থতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতীয় মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের মতে, বাংলাদেশে মৌলবাদীদের যেভাবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তাতে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।
“এক হাতে কুরআন, অন্য হাতে পাথর”— বাংলাদেশের এই চরমপন্থী ভাবধারার বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলিমরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশের এই আগুন এখনই নেভানো দরকার। হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির স্বার্থে বাংলাদেশের বর্তমান হিংসার বিরুদ্ধে বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী মানুষের এক হওয়া উচিত।