“ওরা সুখে থাকুক!” পরকীয়া হাতেনাতে ধরে স্ত্রীর মালাবদল করালেন স্বামী, ওদিকে তৃণমূল নেতার দাবি ‘ষড়যন্ত্র’।

পরকীয়া সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী। স্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল নেতার বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিনের সন্দেহ ছিল স্বামীর। শেষ পর্যন্ত ক্যানিংয়ের এক ভাড়াবাড়িতে দুজনকে হাতেনাতে ধরে দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের বিয়ে দিলেন স্বামী। এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল।

ঘটনার প্রেক্ষাপট ও হাতেনাতে ধরা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য রিপন হালদারের সঙ্গে স্থানীয় এক আইসিডিএস সহায়িকার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল দীর্ঘদিনের। মহিলার স্বামী দীপঙ্কর দাসের দাবি, গত শুক্রবার তিনি খবর পান যে রিপন তাঁর স্ত্রীর ক্যানিংয়ের ভাড়া বাড়িতে এসেছেন। দীপঙ্করবাবু স্থানীয়দের নিয়ে সেখানে পৌঁছে দেখেন, ঘরের দরজা বন্ধ এবং তাঁর বিশেষ সক্ষম সন্তানকে বাইরে বার করে দেওয়া হয়েছে।

দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দিলেন স্বামী ক্ষিপ্ত হওয়ার বদলে দীপঙ্করবাবু এক অভিনব সিদ্ধান্ত নেন। তিনি নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে রিপন ও তাঁর স্ত্রীর মালাবদল এবং সিঁদুরদান করান। দীপঙ্করবাবু বলেন:

“আমাদের ১৫ বছরের বিয়ে। স্ত্রী অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন জেনেও চেয়েছি ওরা সুখে থাকুক। কাল গিয়ে দেখলাম আমার ছেলেকে বের করে দিয়ে ওরা ঘরের ভেতর রয়েছে। তাই আমি দাঁড়িয়ে থেকে ওদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।”

অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পাহাড় তবে এই ‘বিয়ে’ নিয়ে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা:

তৃণমূল নেতার দাবি: পঞ্চায়েত সদস্য রিপন হালদারের দাবি, তাঁকে ফাসানো হয়েছে। তাঁকে জোর করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে এবং হুমকির মুখে পড়ে সিঁদুর দিতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ওই মহিলার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই।

স্ত্রীর অভিযোগ: আইসিডিএস সহায়িকা তথা দীপঙ্করবাবুর স্ত্রীও পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। উল্টে তিনি বাসন্তী থানায় স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁর স্বামীই বরং অন্য সম্পর্কে জড়িত এবং তাঁকে দিনের পর দিন অত্যাচার করতেন।

ঘটনাটি ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ।