“বিজেপির নীতি আর ভালো লাগছে না!” ভোটের মুখে উত্তরবঙ্গে জোড়াফুলের দাপট, চিন্তায় পদ্ম শিবির।

উত্তরবঙ্গে একসময় বিজেপির যে দাপট ছিল, সেখানে এবার বড়সড় ফাটল দেখা দিল। ধূপগুড়ি মহাকুমার বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাচাঁদ পাড়ায় আয়োজন করা হয়েছিল এক বিশাল যোগদান সভার। সেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ২০টি পরিবারের ১০০ জন সদস্য। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপের হাত ধরে এই নতুন কর্মীরা ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখালেন।

কেন বিজেপি ছাড়ল কর্মীরা? তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দলত্যাগী কর্মীরা। বিজেপি ছেড়ে আসা অরুণ সরকার বলেন:

“আমরা আগে সবাই বিজেপিতেই ছিলাম। কিন্তু বর্তমানে দলের নীতি ও আদর্শ আমাদের আর ভালো লাগছে না। মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা ওদের নেই। তাই উন্নয়নের শরিক হতে আমরা একযোগে ২০টি পরিবার আজ তৃণমূলে চলে এলাম।”

উচ্ছ্বসিত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যোগদান সভায় মহুয়া গোপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান বেগম। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প এবং উন্নয়নের ছোঁয়া সব জায়গায় পৌঁছে যাওয়ায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে আসছেন। এই যোগদানের ফলে এলাকায় তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি কয়েকগুণ বেড়ে গেল বলে তাঁরা মনে করছেন।

রাজনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ উত্তরবঙ্গ একসময় বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু একের পর এক পঞ্চায়েত ও স্থানীয় স্তরে এভাবে কর্মী হারানো আগামী বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অন্যদিকে, নিচুতলার কর্মীদের নিজেদের দিকে টেনে তৃণমূল উত্তরবঙ্গে তাদের মাটি আরও শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।