“আমি কি অমিতাভ না শাহরুখ?” তাজ তালকুটিরের মঞ্চে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের রসিকতায় হাসির রোল!

শীতের কলকাতায় এখন উৎসবের মেজাজ। নিউটাউনের তাজ তালকুটিরে শুরু হলো দু’দিনব্যাপী ‘বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমি লিটারেচার ফেস্ট’ (BELF)। শনিবার এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে নিজের রসবোধ এবং প্রজ্ঞায় দর্শকদের মন জয় করে নিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

অমিতাভ-শাহরুখ ও এআই (AI) বিতর্ক অনুষ্ঠানের শুরুতেই মজার ছলে রাজ্যপাল জানান, তিনি ক্যামেরা দেখলে কিছুটা লজ্জা পান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন:

“একবার এক ক্যামেরাম্যান আমার একটি ছবি তুলে বলেছিল ওটা এআই দিয়ে বানানো। ছবিটা দেখে আমার মনে হলো, অমিতাভ বচ্চন আর শাহরুখ খানের মুখ মিশিয়ে দিলে যেমন দেখাবে, আমাকেও ঠিক তেমনই দেখাচ্ছে!”

ব্যবসার পাঠ ও গীতার তত্ত্ব রসিকতার পাশাপাশি গম্ভীর আলোচনাও করেন রাজ্যপাল। ইআইআইএলএম (EIILM) কলকাতার চেয়ারম্যান অধ্যাপক রমাপ্রদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই ‘গীতা ফর ওয়ার্ক অ্য়ান্ড লাইফ’ উদ্বোধন করে তিনি বলেন, মানুষের দেহ পোশাকের মতো কিন্তু আত্মা অমর। ব্যবসার উন্নতির জন্য বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি বাইবেলের ‘অ্যাডাম-ইভ’ এবং ‘শয়তান’-এর উদাহরণ দেন। তাঁর মতে, জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়ার জন্য প্ররোচনা দিয়ে শয়তানই ছিল বিশ্বের প্রথম ‘বিজ্ঞাপন দাতা’।

নিজের ভাষণ নিয়ে নিজেই মশকরা কেরলে কর্মরত থাকাকালীন আদিবাসী এলাকায় সেতু নির্মাণের অভিজ্ঞতা শোনানোর পাশাপাশি নিজের ভাষণ নিয়ে একটি মজাদার গল্প বলেন রাজ্যপাল। একবার এক মহিলা তাঁর কাছে ঘুমের সমস্যার সমাধান চাইলে রাজ্যপাল জানতে পারেন, ওই মহিলা আসলে রাজ্যপালের ভাষণ শুনতে চান। কারণ, এর আগে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাজ্যপালের ভাষণ শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই নাকি ওই মহিলার দারুণ ঘুম এসেছিল!

শিল্প, সাহিত্য এবং অর্থনীতির মেলবন্ধনে আয়োজিত এই লিটারেচার ফেস্টে রাজ্যপালের এমন খোলামেলা উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিতে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে।