“ভারতে ভালো বিচারক আছেন!” অর্থ পাচার মামলায় বড় স্বস্তি পেলেন ভিভিআইপি চপার কেলেঙ্কারির ক্রিশ্চিয়ান মিশেল।

অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার কেলেঙ্কারির অর্থ পাচার (Money Laundering) মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন অভিযুক্ত ব্রিটিশ মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিশেল জেমস। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই রায়ে উচ্ছ্বসিত মিশেল ভারতের বিচারব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “ভারতে এখনও কিছু ভালো বিচারক আছেন। এ দেশের সংবিধান অত্যন্ত শক্তিশালী।”
কেন মুক্তির নির্দেশ দিল আদালত? ক্রিশ্চিয়ান মিশেল আদালতে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অর্থ পাচার মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার সমপরিমাণ সময় তিনি ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে কাটিয়েছেন। সেই যুক্তিতেই আদালত তাঁকে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট এবং ৪ মার্চ দিল্লি হাইকোর্ট ৫ লক্ষ টাকার বন্ড ও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে তাঁকে জামিন দিলেও আইনি জটিলতায় মুক্তি অধরা ছিল।
সিবিআই মামলায় ঝুলে আছে ভাগ্য ইডির (ED) অর্থ পাচার মামলায় স্বস্তি মিললেও মিশেলকে এখনই জেলের বাইরে আসা হচ্ছে না। কারণ, সিবিআই-এর (CBI) দুর্নীতির মামলায় তিনি এখনও হেফাজতে রয়েছেন। একই যুক্তিতে সিবিআই মামলা থেকেও মুক্তির আবেদন করেছেন তিনি, যা বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত সিবিআই-কে নোটিশ জারি করেছে এবং আগামী ২২শে ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ফিরে দেখা: ৩,৬০০ কোটির কেলেঙ্কারি ইউপিএ-১ সরকারের আমলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিদের যাতায়াতের জন্য ১২টি অগাস্টা ওয়েস্টল্যান্ড হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি হয়েছিল, যার মূল্য ছিল ৩,৬০০ কোটি টাকা। অভিযোগ ওঠে, এই চুক্তির জন্য ভারতের রাজনীতিবিদ এবং সেনা কর্মকর্তাদের বিপুল অংকের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই সরকার চুক্তিটি বাতিল করে এবং তদন্তে মিশেলের নাম উঠে আসে।
আপাতত অর্থ পাচার মামলায় জয় পেলেও, সিবিআই-এর মামলায় মিশেলের ভবিষ্যৎ কী হয়, সেদিকেই নজর দেশের রাজনৈতিক মহলের।