বীরভূমে পুলিশের সামনেই ‘যম’ নিয়ে খেলা! বালতি হাতে তাজা বোমা কুড়োলেন আমজনতা, ভাইরাল সেই দৃশ্য

জনবহুল এলাকা, পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়। রাস্তার ওপর পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। এই পরিস্থিতিতে সাধারণত বম্ব স্কোয়াড ডেকে বিশেষ সুরক্ষায় বোমা নিষ্ক্রিয় করার কথা। কিন্তু বীরভূমের সিউড়িতে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো ও হাড়হিম করা এক দৃশ্য। খোদ পুলিশকর্মীদের উপস্থিতিতেই খালি হাতে বালতি নিয়ে তাজা বোমা তুলতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে!
বিস্ফোরণের আশঙ্কায় কাঁপছে আবদারপুর: শুক্রবার সকালে সিউড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবদারপুর এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে দু’টি তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। মুহূর্তে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও বোমা উদ্ধারের জন্য কোনো বিশেষজ্ঞ দল বা বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়নি। উল্টে পুলিশকর্মীরা দাঁড়িয়ে থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের দিয়েই ওই বোমাগুলো সংগ্রহ করান।
প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ‘বোমা উদ্ধার’: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, কোনো রকম সুরক্ষাকবচ ছাড়াই সাধারণ মানুষ খালি হাতে রাস্তা থেকে বোমা তুলে একটি প্লাস্টিকের বালতিতে ভরছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নিজে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁদের এই বিপজ্জনক কাজ করতে বাধ্য করেছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “যে কোনো মুহূর্তে বোমা ফেটে বড়সড় প্রাণহানি ঘটতে পারত। পুলিশ থাকতে আমাদের কেন এই ঝুঁকি নিতে হবে?”
এক মাসে দু’বার, আতঙ্কে স্থানীয়রা: উল্লেখ্য, গত এক মাসের মধ্যে এই আবদারপুর অঞ্চলে রাস্তার ওপর বোমা পড়ে থাকার ঘটনা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। বারবার কেন এই এলাকায় বোমা মিলছে, তা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবারের ঘটনার পর পুলিশের এই চরম গাফিলতি ও সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছেন জেলাবাসী।
পুলিশি নীরবতা: পুলিশের উপস্থিতিতে কেন নিয়ম ভেঙে সাধারণ মানুষকে দিয়ে বোমা তোলা হলো, সে বিষয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। পুলিশের এই লুকোচুরি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে বীরভূমের রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল শুরু হয়েছে।