SpaceX vs ISRO: ২০২৫-এ মহাকাশে এলন মাস্কের ‘সেঞ্চুরি’, অন্যদিকে কত দূরে ভারত? অবাক করবে পরিসংখ্যান!

২০২৫ সাল মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক স্বর্ণাক্ষরে লেখা বছর হয়ে থাকবে। একদিকে এলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) যেখানে প্রায় প্রতিদিন রকেট উড়িয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে ভারতও নিজস্ব প্রযুক্তিতে পা রাখছে নতুন মাইলফলকে। তবে বছরের শেষে এসে দুই সংস্থার পরিসংখ্যানের ফারাক চোখ কপালে তোলার মতো।
মাস্কের ‘সুপার সনিক’ দৌড় ২০২৫ সালে যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন এলন মাস্ক। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ১৬৫টি কক্ষপথীয় উৎক্ষেপণ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে স্পেসএক্স। হাতে থাকা আরও দুটি ফ্যালকন ৯ মিশন সফল হলে বছরের শেষে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ১৬৭-এ। যা ২০২৪ সালের ১৩৪টি উৎক্ষেপণের রেকর্ডকে অনায়াসেই ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। স্পেসএক্সের এই সাফল্যের চাবিকাঠি হলো ফ্যালকন ৯ রকেটের অভাবনীয় পুনরব্যবহারযোগ্যতা। স্টারলিংক স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে নাসার ক্রু মিশন— মহাকাশ জগতের প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার এখন মাস্কের পকেটে।
ইসরোর লক্ষ্য যখন গুণমান অন্যদিকে, সংখ্যায় কম হলেও ২০২৫ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাফল্য পেয়েছে। ডিসেম্বর ১৯ পর্যন্ত পাওয়া সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ভারত ৪টি বড় কক্ষপথীয় মিশন সম্পন্ন করেছে। তবে সংখ্যা দিয়ে ভারতের সক্ষমতা বিচার করা ভুল হবে। ডকিং মিশন এবং ‘নিসার’ (NISAR) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মতো অত্যন্ত জটিল ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত মিশনগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করে বিশ্বজুড়ে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ্বের নজর এখন কোথায়? পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট উৎক্ষেপণের দুই-তৃতীয়াংশই করেছে স্পেসএক্স। তাদের ‘স্টারশিপ’ প্রকল্পের সাবঅরবিটাল পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন মহাকাশ গবেষণার গতিপথ বদলে দিচ্ছে। যেখানে বিশ্বের অন্যান্য বড় বড় সংস্থা মাস্কের গতি ধরতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে ভারত তার সীমিত সংস্থান নিয়েও উন্নত প্রযুক্তি ও নিখুঁত মিশনের মাধ্যমে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় বজায় রেখেছে।
বলাই বাহুল্য, ২০২৫ সাল মহাকাশ গবেষণার লড়াইকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল। আগামী বছর ভারত ও আমেরিকার এই দ্বৈরথ কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।