SSC নিয়োগে ২০২৬ পর্যন্ত বড় স্বস্তি! সুপ্রিম কোর্টে সময় বাড়ল রাজ্যের, তবে নতুন প্রার্থীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সরগরম বাংলার রাজনীতি। একদিকে সুপ্রিম কোর্টের সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের স্বস্তি, অন্যদিকে নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির গুরুতর অভিযোগ—সব মিলিয়ে নিয়োগ জট কাটার বদলে আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ: শীর্ষ আদালত এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল যে, ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার ও কমিশন জানায়, এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এরপরই আদালত সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ আগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত করেছে।
কর্মরত শিক্ষকদের লাভ: যারা বর্তমানে চাকরি করছেন, তারা আগস্ট পর্যন্ত বেতন পাবেন এবং কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
নতুন প্রার্থীদের অপেক্ষা: নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন চাকরিপ্রার্থীদের আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত অনিশ্চয়তায় থাকতে হবে।
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির ‘খিচুড়ি’ প্যানেল তত্ত্ব: বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি ভিডিও বার্তায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি: ১. নম্বর বৈষম্য: ২০১৬ সালের প্যানেলের প্রার্থীদের অভিজ্ঞতার কারণে ১০ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হচ্ছে। ফলে নতুন যোগ্য প্রার্থীরা বেশি নম্বর পেয়েও পিছিয়ে পড়ছেন। ২. অযোগ্যদের সুরক্ষা: তাঁর অভিযোগ, নতুন ও পুরনো প্রার্থীদের একসঙ্গে মিশিয়ে পরীক্ষা নিয়ে অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ৩. ভোটের অঙ্ক: তরুণজ্যোতির আশঙ্কা, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই সময় বাড়ানো হয়েছে যাতে নিয়োগ দুর্নীতির ছায়ায় ভোট বৈতরণী পার হওয়া যায়।
গ্রুপ C ও D নিয়োগে স্থগিতাদেশ: শিক্ষক নিয়োগে সময় বাড়লেও গ্রুপ C ও D-র ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা লেগেছে। কলকাতা হাইকোর্ট যোগ্য প্রার্থীদের ১০ বছরের বয়স ছাড় দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল, সুপ্রিম কোর্ট তাতে আপাতত স্থগিতাদেশ (Abeyance) দিয়েছে। শীর্ষ আদালতের মতে, প্রতিটি আবেদন আলাদাভাবে খতিয়ে না দেখে ঢালাও ছাড় দিলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।
শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঠিক দিকনির্দেশের কারণেই কমিশন স্বচ্ছতার সঙ্গে এগোচ্ছে এবং আদালত সময় দেওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও নিখুঁতভাবে শেষ করা সম্ভব হবে।