শীতের মরশুমে আজমখালির জঙ্গলে নদীর জলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সাঁতার! বাঘের দর্শন পেয়ে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

শীতের মরশুমে সুন্দরবনে ঘুরতে গিয়ে ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পেলেন পর্যটকরা। দক্ষিণরায়ের এমন দুর্লভ ছবি ক্যামেরাবন্দি করে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত বারুইপুর থেকে আসা পর্যটকদের একটি দল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর বারুইপুর থেকে প্রায় ৩০ জন পর্যটকের একটি দল সুন্দরবন ভ্রমণে আসে। কুলতলির কৈখালি থেকে বনদফতরের বৈধ পাস নিয়ে ‘মা সরস্বতী’ নামে একটি বোটে তাঁরা সুন্দরবনের অন্দরে ঘুরছিলেন। গতকাল, রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আজমখালি জঙ্গলের কাছে সেই বহু আকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য দেখা যায়। পর্যটকেরা দেখতে পান একটি পূর্ণবয়স্ক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদীতে সাঁতার কাটছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি পুনরায় জঙ্গলের অন্য অংশে ফিরে যায়। এই গোটা দৃশ্যটাই ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা।

বোট চালকের অভিজ্ঞতা: ‘মা সরস্বতী’ বোটের চালক দীপক সর্দার জানান, “শনিবার বারুইপুর থেকে পর্যটকদের দলটি আমার বোটে সুন্দরবন ঘুরতে এসেছিল। রবিবার বিকেলে আজমখালি জঙ্গলের কাছে হঠাৎই বাঘ দেখতে পান তাঁরা। বাঘটি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদীতে সাঁতার কেটে অন্য দিকের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। পর্যটকরা সুন্দরবনে এসে বাঘ দেখতে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন। আমরাও আনন্দিত।”

বনদফতরের সতর্কতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) নিশা গোস্বামী জানিয়েছেন, প্রতিবছর শীতের মরশুমে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবন খুলে দেওয়া হয়। বনদফতরের কাছ থেকে বৈধ পাস নিয়েই নৌকা এবং লঞ্চগুলিকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে হয়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের টানেই দেশ-বিদেশের বহু পর্যটক ছুটে আসেন সুন্দরবনে।

তিনি আরও জানান, বহু পর্যটকেরা বাঘের দর্শন পেলেও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বনদফতরের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের বেশ কিছু রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। জীববৈচিত্র্য দেখতে এবং এক ঝলক দক্ষিণরায়কে দেখার জন্যই পর্যটকরা প্রতি বছর সুন্দরবনে ভিড় জমান। এইবার সেই বিরল সৌভাগ্য হলো বারুইপুর থেকে আসা পর্যটকদের।