সুস্থ থাকতে রোজ পান করুন এই ভেষজ জল, মিলবে উপকার

সুস্থ থাকতে হলে জল পানের বিকল্প নেই। দিনে ৮-১০ গ্লাস পান করতেই হবে। সব সময় স্বাদহীন জল পান করতে মন না-ও চাইতে পারে। তখন জলর সঙ্গে এমন কিছু উপাদান মেশাতে হবে যা একইসঙ্গে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। প্রকৃতিতে এমন অনেক উপাদান আছে যাতে স্বাদ-গন্ধের পাশাপাশি আছে পুষ্টি জোগায় ও রোগ সারানোর ক্ষমতা রাখে। সেসব মিশিয়ে পান করলে আর বিস্বাদ লাগবে না। পাশাপাশি বাড়বে প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

বিভিন্ন রোগ সারাতে যেমন ভেষজ পানীয়র ভূমিকা আছে, আবার জলর স্বাদ-গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু বিশেষ পুষ্টি যোগানোর ক্ষেত্রেও কয়েক ধরনের ভেষজ পানীয় বিশেষভাবে কার্যকরী। সঠিক পদ্ধতিতে বানিয়ে ঠিক সময়ে খেলে সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতারও উন্নতি হয়। জেনে নিন ভেষজ পানীয় তৈরির উপায়-

এক চামচ ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনো আমলকি, হরিতকি ও বহেরা নামে তিনটি ফলের চূর্ণ একগ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে পেট পরিষ্কার হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণের জন্য এই মিশ্রণ প্রদাহ কম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফ্লু ঠেকাতে কাজে আসে। হালকা গরম জলে গুলে খেলে গলা ব্যথার প্রকোপ কমে। এর সঙ্গে এক চিমটি দারুচিনির গুঁড় ও এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে স্বাদ-গন্ধের যেমন উন্নতি হয়, ভারী হয় উপকারের পাল্লাও।

এক চামচ মেথি শুকনো কড়াইয়ে ভেজে, গুঁড়া করে একগ্লাস জলে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করলে ডায়াবেটিস ও ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, এলডিএল এর প্রকোপ কমে। প্রদাহ কমে বলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। হজমও ভালো হয়।

মৌরির জল তৈরি করতে পারেন দুইভাবে। হয় এক গ্লাস জলে এক চামচ মৌড়ি সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেঁকে পান করুন। নয়তো একগ্লাস জল ফুটিয়ে তাতে এক চামচ মৌরি দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২-৩ মিনিট। তারপর ছেঁকে চায়ের মতো পান করুন। স্বাদ ও গুণ বাড়াতে অল্প লেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। ঠান্ডা করেও পান করতে পারেন। সুগন্ধী এই জল পান করলে নিমেষে তরতাজা লাগে। পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের উপসর্গ কমে কিছুটা। শরীরে জমা জল বেরনোর সুরাহা হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের প্রকোপও কম থাকে।

১ চা চামচ সাদা জিরা, দেড় কাপ জল, আধ চা চামচ মধু নিন। কড়াইতে জিরা হালকা করে ভেজে দেড় কাপ জল দিয়ে ৩-৪ মিনিট ফোটান। ঠান্ডা হলে ছেঁকে জলটুকু পান করে নিন। এতে ওজন যেমন কমবে, হজমশক্তিও বাড়বে।