ত্রাণ বিলিতে সাংসদ আক্রান্ত! শুভেন্দু অধিকারীর জেলা কাঁথিতে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে উত্তাল বিজেপি, এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ

উত্তরবঙ্গে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে মালদা কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলার প্রতিবাদে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার দুপুরে কাঁথির খড়গপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা অবরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করে প্রতিবাদ জানায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জিহাদীদের দ্বারা আক্রান্ত’
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই পথ অবরোধ চলে, যার ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দাঁ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছান।
কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল এই ঘটনা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ রাজ্যে পুলিশ, প্রশাসন ও আইন নেই। স্বাধীনতার পর সারা ভারতবর্ষে এই ধরনের ভয়ঙ্কর ঘটনা কেউ কোথাও দেখেনি। নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়ক ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়ে জিহাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পেছনে রাজ্য প্রশাসনের মদত রয়েছে।”
তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘দলদাসে’ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি দেন, “মানুষ যদি আইন শৃঙ্খলা হাতে তুলে নেয়, পুলিশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দিকেই এগিয়ে দিচ্ছে। সারা ভারতবর্ষে এরকম নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী আগে কখনওও দেখেনি।”
‘তৃণমূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা’
এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরূপ কুমার দাসও। তিনি এই হামলাকে তৃণমূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ‘নিন্দনীয় ও বর্বর আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেন।
অরূপ কুমার দাস বলেন, “উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের কোনো অস্তিত্ব নেই। বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করে পুলিশ প্রশাসনকে বসিয়ে রেখে, ওখানকার ভোটারকে ভয় দেখানোর জন্যই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই এই হামলা।”
অবরোধ কর্মসূচিতে দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস ছাড়াও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল, সহ সভাপতি অসীম মিশ্র, জেলা সহ সভানেত্রী মুনমুন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন।