প্রেমিকের সঙ্গে দেখা, ফিরতে না চাওয়ায় চরম রাগ! বোনকে মারধর করে খালে ফেলে দিল দাদা, পাশে বসে ছিল দেড় ঘণ্টা

প্রেমের সম্পর্ক ও ‘সিঁদুর’ পরা নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে নিজের ১৯ বছর বয়সী বোনকে খালের জলে ডুবিয়ে খুন করলেন দাদা। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে। খুনের পর অভিযুক্ত দাদা আদিত্য মৃতদেহের পাশে টানা দেড় ঘণ্টা বসে থাকার পর নিজেই পুলিশে ফোন করে খুনের কথা স্বীকার করেন।

প্রেমের সম্পর্ক ঘিরে আপত্তি
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম নিত্যা যাদব, তিনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, নিতার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আদিত্যের চরম আপত্তি ছিল। তিনি বারবার বোনকে সেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য চাপ দেন। কিন্তু নিত্যা সম্পর্ক ভাঙতে রাজি হননি।

দাদা আদিত্য বেশ কয়েকবার বোনকে সিঁদুর পরতে দেখেছিলেন। পরে জানতে পারেন, নিত্যা গত তিন বছর ধরে এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। আদিত্য মনে করেন, নিত্যা হয়তো তাঁকে না জানিয়েই বিয়ে করে ফেলেছেন। এই ঘটনায় পারিবারিক অশান্তি চরমে ওঠে।

রেস্তোরাঁ থেকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে খুন
রবিবার বচসার জেরে নিত্যা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরদিন, অর্থাৎ সোমবার, বাড়ির অদূরে একটি রেস্তোরাঁয় নিত্যাকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখতে পান আদিত্য। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সেখানে অশান্তি শুরু করেন এবং নিত্যাকে বাড়ি ফেরার জন্য জোরাজুরি করেন, কিন্তু তরুণী রাজি হননি।

এরপর আদিত্য জোর করে বোনকে টেনে হিঁচড়ে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে যান। পুলিশকে তিনি জানান, সেখানেই বোনকে বেধড়ক মারধর করার পর খালের জলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। কিছুক্ষণ পর দেহটি তুলে খালের পাড়ে নিয়ে আসেন এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা পাশে বসে থাকেন। অবশেষে তিনি নিজেই পুলিশে ফোন করে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং আদিত্যকে হেফাজতে নিয়েছে।

আদিত্য পেশায় শ্রমিক এবং বাবার মৃত্যুর পর তিনি সংসারের দায়িত্ব সামলান। পুলিশকে তিনি জানান, বোনকে খুবই ভালোবাসতেন, কিন্তু তাঁর প্রেমের সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি।