ড্রোন হানার জবাব এবার আকাশে! পাকিস্তান সীমান্তে ছয়টি অত্যাধুনিক AK-630 বন্দুক কিনছে ভারতীয় সেনাবাহিনী,

পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষ এবং গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্ত জুড়ে আকাশপথের হুমকি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ছয়টি নতুন AK-630 এয়ার ডিফেন্স বন্দুক কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে।

AK-630-এর ক্ষমতা কত?
এই AK-630 বন্দুকটি একটি ৩০ মিমি মাল্টি-ব্যারেল ফায়ারিং সিস্টেম, যা প্রতি মিনিটে প্রায় ৩০০০ রাউন্ড গুলি চালাতে পারে। সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই অত্যাধুনিক বন্দুক ব্যবস্থা সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা হবে।

সেনাবাহিনীর মতে, ড্রোন, রকেট, আর্টিলারি এবং মর্টারের মতো বিভিন্ন আকাশপথের হুমকি মোকাবিলায় এই বন্দুক অত্যন্ত কার্যকর হবে।

প্রতিটি বন্দুক একটি ট্রেলারে লাগানো থাকবে, যার ফলে প্রয়োজনে এটি দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে মোতায়েন করা যাবে।

এর পাল্লা প্রায় ৪ কিলোমিটার।

এটি একটি সর্ব-আবহাওয়া ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত, যা প্রতিকূল আবহাওয়াতেও লক্ষ্যবস্তু নির্ভুলভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম।

মিশন ‘সুদর্শন চক্র’ ও মোদীর ঘোষণা
ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অস্ত্র ক্রয় করছে ‘মিশন সুদর্শন চক্র’-এর অধীনে। এই উচ্চাভিলাষী মিশনের লক্ষ্য হলো ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বহুস্তরীয় এবং দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর করে তোলা। নজরদারি, সাইবার নিরাপত্তা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকীকরণ করাই এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য।

স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অভিযানের ঘোষণা করেন।

এদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, যদি কেউ ভারতের সীমান্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে অপারেশন সিন্দুর ২.০-তে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

ভারতের নিরাপত্তা ঢাল
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই দরপত্রটি অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (AWEIL)-কে দেওয়া হয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে। সেনা সূত্রের খবর, এই নতুন এয়ার ডিফেন্স বন্দুকগুলি মিশন সুদর্শন চক্রের ভিত্তিপ্রস্তর হবে। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সেনাবাহিনী এখন যেকোনো বায়ু হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে চায়। AK-630 এর মতো উচ্চ-ফায়ারিং বন্দুক ভবিষ্যতে ভারতের নিরাপত্তা ঢাল হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।