স্বাধীনতা দিবসের দিনে রাশিয়ার পারমাণবিক কেন্দ্রে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ইউক্রেন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যেই রাশিয়ার একাধিক স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে রাশিয়ার একটি বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লির ক্ষমতা কমে গেছে এবং একটি জ্বালানি টার্মিনালে ভয়াবহ আগুন লেগেছে।
হামলার বিস্তারিত:
- কুর্স্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র: ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কেন্দ্রে একটি ড্রোন হামলা হয়। এতে প্ল্যান্টের একটি ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৩ নম্বর চুল্লির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ শতাংশ কমে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক আছে এবং কেউ হতাহত হয়নি।
- উস্ত-লুগা জ্বালানি টার্মিনাল: ফিনল্যান্ড উপসাগরের কাছে এই গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি রপ্তানি টার্মিনালে কমপক্ষে ১০টি ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা চালায়। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ার পর সেখানে বিশাল আগুন লেগে যায়।
- অন্যান্য হামলা: রাশিয়ার সামারা অঞ্চলের সিজরান শহরে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানেও ড্রোন হামলা হয়েছে। গভর্নর জানিয়েছেন, এতে একটি শিশু আহত হয়েছে। এর আগে ইউক্রেন সিজরান তেল শোধনাগারে হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে শোধনাগারটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
জাতিসংঘের উদ্বেগ:
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা (IAEA) জানিয়েছে, তারা এই সামরিক কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত। তারা বারবার সতর্ক করে বলেছে যে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোকে সবসময় সুরক্ষিত রাখা উচিত। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনার কথা বলা হলেও, এই যুদ্ধ প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্রন্ট লাইনে এখনও চলছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেন তাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় এই হামলা চালিয়েছে। তারা দাবি করেছে যে তারা মোট ৯৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন আটক করেছে। এই হামলাগুলো যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং নতুন করে ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি করেছে।