বিশেষ: কৃষ্ণের সবচেয়ে প্রিয় এই ৪ রাশির জাতক, সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেন গোপাল ঠাকুর

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে জন্মাষ্টমী এক পবিত্র উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে প্রতি বছর এই দিনে সারা দেশে পালিত হয় বিশেষ এই পার্বণ। জন্মাষ্টমীর অন্য নামগুলি হল কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণ জয়ন্তী। মথুরা, বৃন্দাবন, নবদ্বীপ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় এই উৎসবের প্রস্তুতি।
ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ও রোহিণী নক্ষত্রে কংসের কারাগারে দেবকী ও বাসুদেবের অষ্টম সন্তান রূপে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার। সনাতন ধর্ম এবং বৈষ্ণব মতে, শ্রীকৃষ্ণকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর হিসাবে মানা হয়। তিনিই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রবর্তক। শ্রীকৃষ্ণকে সাধারণত বংশীবাদনরত এক কিশোরের রূপে দেখা যায়, আবার মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি অর্জুনের রথের সারথি ও পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, কিছু বিশেষ রাশির জাতক-জাতিকারা শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ কৃপা লাভ করে থাকেন। এই ৪ রাশির জাতক-জাতিকারা সর্বদাই ভগবানের আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন, যা তাদের জীবনে সৌভাগ্য ও সাফল্য এনে দেয়।
বৃষ রাশি (Taurus): বৃষ রাশি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত প্রিয়। এই রাশির জাতকদের উপর ভগবানের বিশেষ কৃপা থাকে। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে তারা জীবনের সকল কর্মে সাফল্য লাভ করে। তাই বৃষ রাশির জাতকদের নিয়মিত শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা উচিত।
কর্কট রাশি (Cancer): কর্কট রাশির প্রতি শ্রীকৃষ্ণ সদয়। এই রাশির মানুষরা প্রতিটি কাজে সাফল্য লাভ করে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, কর্কট রাশির জাতকরা মৃত্যুর পর মোক্ষ লাভের জন্য শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ লাভ করেন। তাই তাদের নিয়মিত রাধা-কৃষ্ণ উভয়েরই পূজা করা উচিত।
সিংহ রাশি (Leo): শ্রীকৃষ্ণের করুণা এই রাশির জাতকদের উপর সব সময় থাকে। এই রাশির মানুষরা স্বভাবতই খুব পরিশ্রমী হয়। ভগবানের কৃপায় তারা তাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল অবশ্যই পেয়ে থাকেন। সিংহ রাশির জাতক-জাতিকাদের নিয়মিত শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করা উচিত।
তুলা রাশি (Libra): জ্যোতিষ মতে, তুলা রাশির জাতকদের উপরও শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ কৃপা থাকে। তারা জীবনে সব ধরনের সুখ ভোগ করে। শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে এই রাশির মানুষরা সমাজে সম্মান ও প্রতিপত্তি লাভ করেন। তুলা রাশির জাতকদের সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের নাম জপ করা উচিত।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে দেওয়া তথ্যগুলি প্রচলিত জ্যোতিষীয় বিশ্বাস ও অনুমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি কোনো নিশ্চিত দাবি নয়।)