সনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ BJP’র, শুরু নতুন বিতর্ক!

নির্বাচন কমিশন (ECI) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগের জবাবে এবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানাল বিজেপি। বুধবার দলের নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর দাবি করেন, সনিয়া গান্ধী ভারতের নাগরিক হওয়ার আগেই তার নাম বেআইনিভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

১৯৮০ সালের ভোটার তালিকা নিয়ে বিজেপি’র অভিযোগ
অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত সনিয়া গান্ধী ভারতীয় নাগরিক হওয়ার এক বছর আগেই তার নাম ভোটার তালিকায় ছিল। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যও এই একই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পুরনো ভোটার তালিকার অংশবিশেষের ফটোকপি পোস্ট করে তুলে ধরেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যদি এটাকে সরাসরি নির্বাচনী জালিয়াতি না বলা হয়, তবে আর কোনটাকে বলা হবে?”

মালব্যের দাবি অনুযায়ী, ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রীত্বকালে, ১৯৮০ সালের নির্বাচনের আগে নয়াদিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় সনিয়ার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, নাগরিক না হলে ভোটার হিসেবে নাম তোলা সম্ভব নয়। ১৯৮২ সালে এই বিতর্ক সামনে আসার পর তার নাম বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে তিনি নাগরিকত্ব পেলেও, সেই সময়ও নিয়ম ভেঙে তার নাম পুনরায় ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছিল বলে মালব্য দাবি করেন।

কংগ্রেসের পাল্টা জবাব
বিজেপির এই অভিযোগের জবাবে কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, সনিয়া গান্ধী নিজে কখনও ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন করেননি। সে সময়কার নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই তার নাম তুলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা এবং তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

বিরোধীদের ভোট কারচুপির অভিযোগ
গত এক বছর ধরে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলছে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে তারা অভিযোগ করে। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন যে, কর্ণাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই এক লক্ষেরও বেশি বেআইনি ভোট ছিল, যার জেরে কংগ্রেসকে লোকসভা আসন হারাতে হয়। বর্তমানে বিহারের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।