মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। স্টেসি উইলিয়ামস নামে একজন প্রাক্তন স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটর ও মডেল সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ১৯৯৩ সালে নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে ট্রাম্প তাঁকে সম্মতি ছাড়াই স্পর্শ করেছিলেন। সেই সময় দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

উইলিয়ামস জানান, তিনি ১৯৯০-এর দশকের শুরুর দিকে অল্প সময়ের জন্য এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন। সে সময় এক সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রাম্প তাঁর স্তন, নিতম্ব এবং কোমরে “বেপরোয়াভাবে স্পর্শ” করেন। উইলিয়ামস বলেন, “তাঁর হাত আমার স্তনে, সারা শরীরে ছিল।” তিনি আরও জানান, এই ঘটনা যখন ঘটছিল, তখন ট্রাম্প এপস্টেইনের সঙ্গে স্বাভাবিক কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছিলেন এবং কাছাকাছি থাকা সেক্রেটারিরা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

উইলিয়ামসের এই অভিযোগ ট্রাম্প এবং এপস্টেইনের মধ্যকার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের ওপর নতুন করে আলোকপাত করেছে। উইলিয়ামস দাবি করেছেন যে, সেই সময় ট্রাম্প এবং এপস্টেইন “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” ছিলেন এবং এপস্টেইন নিজেও বিভিন্ন ঘটনায় সেই সম্পর্কের প্রমাণ দিয়েছেন। উইলিয়ামসের তিনজন বন্ধু নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি বহু বছর আগে তাঁদের কাছে এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প অবশ্য বরাবরের মতোই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সিএনএন জানিয়েছে, এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে ট্রাম্পের আগের বক্তব্য নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি কর্তৃক প্রকাশিত ডিক্লাসিফাইড এপস্টেইন ফাইলস-এর প্রথম ধাপে ফ্লাইটের লগ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের অক্টোবর মাসে ট্রাম্প এপস্টেইনের সঙ্গে দুটি আন্তর্জাতিক যাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তাঁরা ঘনিষ্ঠ ছিলেন না, এই নথি থেকে প্রমাণিত হয় যে তাঁদের সম্পর্ক অন্তত ১৯৮০-এর দশক থেকে চলে আসছিল।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক নারী যৌন হয়রানি ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছেন, যা তিনি বারবার অস্বীকার করেছেন। কিন্তু এই নতুন অভিযোগ আবারও মার্কিন রাজনীতিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, নারীর প্রতি সম্মান এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।