‘অপারেশন মহাদেবে’ নিকেশ ৩ জঙ্গি, আসরে NIA, কী তথ্য সামনে আসতে পারে?

পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সুলেমান শাহ-সহ দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) তিন জঙ্গিকে সোমবার যৌথবাহিনী নিকেশ করেছে। মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হওয়া এই তিন জঙ্গিই পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ছিল।

এই অভিযানের পর নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত করতে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) যৌথবাহিনীকে সহায়তা করছে। জঙ্গিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ‘বায়োমেট্রিক ডেটা’ এবং ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। তিন জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই অভিযানের খুঁটিনাটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ‘চিনা ডিভাইস’ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শ্রীনগরের লিদবাসে যৌথবাহিনী এই অভিযান চালায়। জঙ্গিরা সেখানে তাঁবু খাটিয়ে লুকিয়ে ছিল। তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পরই ‘স্নাইপার’ ব্যবহার করে জঙ্গিদের মাথার মাঝখানে গুলি চালানো হয়। গতকাল জঙ্গিদের কাছ থেকে মার্কিন কার্বাইন, একে-৪৭, ‘রাইফেল গ্রেনেড’ এবং অন্যান্য বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। বিশেষ করে, রাইফেলের ব্যারেল থেকে ছোড়া যায় এমন গ্রেনেড উদ্ধার হওয়া বাহিনীকে বিশেষভাবে ভাবাচ্ছে। সেনা মনে করছে, পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদত ছাড়া এত আধুনিক অস্ত্র জঙ্গিদের কাছে থাকতে পারে না। এই ধরনের রাইফেল গ্রেনেড ব্যবহার করে ২০০ মিটার দূর থেকে হামলা চালানো সম্ভব। জঙ্গিদের অস্থায়ী তাঁবু থেকে রান্নার বাসনপত্রও উদ্ধার হয়েছে।

যৌথবাহিনী অনুমান করছে, বেশ কয়েকজন জঙ্গিই ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছিল। বাহিনীর সন্দেহ, আরও জঙ্গি আশপাশের এলাকায় লুকিয়ে থাকতে পারে। সেই সন্দেহের ভিত্তিতে দ্বিতীয় দিনেও ‘অপারেশন মহাদেব’ জারি রয়েছে। শ্রীনগরের কাছে ডাচিগামের গভীর জঙ্গলে যৌথবাহিনী নিবিড় তল্লাশি চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছিল। হামলায় জড়িত জঙ্গিরা পরিচয় জেনে হামলা চালিয়েছিল বলে জানা যায়। হামলাকারী ৪ জঙ্গিকে এখনও কেন ধরা গেল না, তা নিয়ে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিল। এই আবহে, আজ সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ নিশ্চিত করলেন যে, ‘অপারেশন মহাদেব’-এ খতম হওয়া তিন জঙ্গি পহেলগাঁও হামলার সঙ্গেই জড়িত ছিল।