মধ্যমগ্রামে এক অস্থায়ী হোমগার্ডের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। মৃতার নাম নাসরিন সুলতানা। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, নাসরিনের পরিবারের সদস্যরা এটিকে পরিকল্পিত খুন বলে দাবি করেছেন এবং বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র চার মাস আগে নাজমুল হুদা ও নাসরিন সুলতানার বিয়ে হয়েছিল দুই পরিবারের সম্মতিতে। কিন্তু বিয়ের মাত্র এক মাস পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। নাসরিনের পরিবারের অভিযোগ, স্বামী নাজমুল হুদা এবং তাঁর পরিবার নাসরিনকে নিয়মিতভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতেন।

পরিবারের দাবি, এই অত্যাচারের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, শেষ পর্যন্ত নাসরিনকে হত্যা করে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এটি আত্মহত্যা নয়, বরং খুন বলেই দাবি করছেন তাঁরা।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তদন্ত শুরু করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী নাজমুল হুদাকে প্রাথমিকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং পুলিশের তদন্তের পরই ঘটনার আসল রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।