প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৬টা ইঞ্জিন নিয়েও আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছেন দমকল কর্মীরা

হাওড়ার আমতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। বিধ্বংসী আগুনে নতুন রাস্তার কাছে থাকা একটি প্লাস্টিক কারখানা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। সূত্রের খবর, সোমবার রাত ১২টা নাগাদ প্রথম আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা কারখানাটি দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। রাতভর চলে আগুন নেভানোর কাজ। যদিও ভোরের দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে, তবুও পুরোপুরি নির্বাপিত হয়নি। সকালেও কারখানার ভেতর থেকে গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
দমকলের প্রাথমিক অনুমান, প্লাস্টিক কারখানা হওয়ার কারণেই আগুন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তবে ঠিক কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই দমকল ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। কথা বলা হচ্ছে কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গেও।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বহু মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বাইপাস সংলগ্ন একটি গ্যারেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় একাধিক গাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, দমকলের বিলম্বিত প্রতিক্রিয়ার কারণে আগুন আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এছাড়াও, সম্প্রতি শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে ফুটপাতের দোকানগুলিতেও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানেও আগুন নেভাতে গিয়ে দমকলকর্মীদের প্রচণ্ড বেগ পেতে হয়।
আমতার এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে দমকলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের আরও দ্রুত এবং কার্যকরী ভূমিকার দাবি তুলেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।