বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারী ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন যে বিশ্বকে অবশ্যই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ এই মহামারী কোভিড-১৯ এর চেয়েও ‘মারাত্মক’ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা উঠে গেলেও কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান।

তিনি আরও বলেন:

আরেকটি ভ্যারিয়েন্টের উদ্ভব হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে, যা নতুন করে রোগের বিস্তার ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আরেকটি মারাত্মক প্যাথোজেন ছড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।

ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্স বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সাথে একমত হয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আরেকটি মহামারী অনিবার্য এবং সরকারের আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান পরামর্শ দিয়েছেন যে, পরবর্তী মহামারী যখন আঘাত হানবে, তখন সুচিন্তিত, সম্মিলিত এবং সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

মহামারী আমাদের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, কিন্তু এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গুরুত্বও তুলে ধরেছে।

বিজ্ঞানী ভ্যালেন্স বিশ্বাস করেন যে সহজলভ্য ডায়াগনস্টিকস, ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এই সফলতা অর্জনের জন্য উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক সমন্বয় প্রয়োজন ছিল।

তিনি মহামারী চুক্তির জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চাপের কথা উল্লেখ করেছেন, যা দেশগুলিকে মহামারী প্রস্তুতিতে সহায়তা করবে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্ট ফোকাস করা হচ্ছে না।