অবতরণের সময় বিমানের ইঞ্জিনে আগুন, প্রাণে বাঁচলেন ১২২ জন যাত্রী

দক্ষিণ কোরিয়ায় রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মাঝ আকাশে একটি যাত্রীবাহী বিমানে আগুন ধরে যায়। বিমানটিতে ১২২ জন যাত্রী ছিল। পাইলটের তৎপরতায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেলেও যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, বিমানটি অবতরণের সময় একটি পাখির ধাক্কায় ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বিমানের পিছনের অংশে আগুনের শিখা দেখা যায়। পাইলট যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তার কথা ভেবে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন।

বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করে এবং সকলেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে, বিমানের ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিমানে থাকা এক যাত্রী বলেন, “আমি ভয়ে হাত-পা কাঁপছিলাম। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত ছিল। মুখ থেকে কারও কোনও কথা সরছে না। ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। বেঁচে ফিরতে পারব কিনা সন্দেহ ছিল।”

উল্লেখ্য, নতুন বছরের শুরুতেই জাপানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। জাপানের টোকিওতে হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। রক্ষা করা হয় শতাধিক যাত্রীকে।

জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়েতে পার্ক করে রাখা আরেকটি বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দু’টি বিমানেই আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই পুরো রানওয়ে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। পার্ক করা কোস্টগার্ডের বিমানে থাকা ছয়জন ক্রু সদস্যের মধ্যে পাঁচজন দুর্ঘটনায় মারা যান। আহত হন কোস্টগার্ডের বিমানের পাইলট। তবে যাত্রীবাহী বিমানের ৩৭৯ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।