বিয়ের পর একটা সময়ের পরে সন্তানের কথা ভাবাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধরা যাক সন্তানের জন্য আপনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ তৈরি, কিন্তু আপনার স্বামী চাইছেন আর একটু সময় নিতে। সে ক্ষেত্রে দু’জনের মধ্যে একটা সমস্যা তৈরি হওয়া বিচিত্র নয়। ঠিকমতো সামলাতে না পারলে এই মতান্তর থেকে সম্পর্কে বড়ো ধরনের দূরত্বও তৈরি হতে পারে। রিলেশনশিপ কাউন্সেলরেরা কিন্তু এ ধরনের সমস্যায় ধৈর্য রাখতেই পরামর্শ দেন। ধৈর্য আর আবেগবর্জিত যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনার মাধ্যমেই স্বামী স্ত্রী সন্তানের জন্মের ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছোতে পারেন বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
খোলামেলা কথা বলুন
সন্তানের জন্ম যে কোনও স্বামী-স্ত্রীর জীবনেই একটি মোড় ফেরানো ঘটনা। আপনার স্বামী যদি এক্ষুনি সন্তান আনার ব্যাপারে অনিচ্ছুক থাকেন, তা হলে তার নিশ্চয়ই কোনও একটা সুনিশ্চিত কারণ রয়েছে। তাই এ সব ক্ষেত্রে স্বামীর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলাটাই একমাত্র পথ। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞেস করুন কেন তিনি সন্তানের ব্যাপারে অনিচ্ছুক। ওঁর কি আরও সময় দরকার? নাকি কারণটা আর্থিক? নাকি দায়িত্ব নিতে ভয় পাচ্ছেন তিনি? আসল কারণটা জানতে পারলে তার সমাধানসূত্র খোঁজাটাও সহজ হবে।
আত্মসমীক্ষা করুন
আপনার স্বামী না হয় রাজি নয়! কিন্তু সন্তানের জন্ম দেওয়ার ব্যাপারে আপনি নিজে মানসিক দিক দিয়ে সম্পূর্ণভাবে তৈরি তো? অনেকেই মনে করেন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে কোনও সংকট তৈরি হলে সন্তানের জন্ম সেই সংকট কমাতে পারে। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই সঠিক নয়। আপনাদের সম্পর্কে কোনও খিঁচ থাকলে সন্তানের জন্মের কারণে সে খিঁচ ঠিক হবে না। বন্ধুবান্ধবী বা আত্মীয়স্বজনের চাপেও মাথা নিচু করবেন না।
প্রয়োজনে সময় নিন
সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখানোর জন্য স্বামী স্ত্রী দু’জনেরই সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আপনার স্বামী যদি তৈরি না থাকেন, তা হলে তাড়াহুড়ো না করে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন। এই সময়টা ফ্যামিলি প্ল্যানিং নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলুন, পরিকল্পনা করুন, সম্পর্কটাকে সুন্দর করে তুলুন, যাতে ভবিষ্যতে সন্তানের জন্ম আপনাদের জীবনে নতুন আনন্দের জোয়ার এনে দেয়!