যতদিন প্রেম থাকে, ততদিন সম্পর্ক সুন্দর থাকে। সম্পর্ক নষ্ট হতে শুরু করে প্রেমের অভাবে। আর এই অভাব দেখা দিতে পারে যেকোনো পক্ষ থেকেই। স্বপ্ন আর বাস্তবতায় অমিল হলেই ভাঙতে শুরু করে সম্পর্ক।
একটা সময় মনে হতে পারে, সম্পর্ক আর এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে চলে যেতে পারে। তবে ছেলেরা এক্ষেত্রে কিছু অজুহাত দেখায়। সেসব অজুহাত ঘুরে-ফিরে একইরকম হয়ে থাকে। সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে সেসব অজুহাত ছেলেদের বড় অস্ত্র। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো সম্পর্কে-
ব্যস্ততার অজুহাত দেখানো
প্রেমের শুরুতে যেমন থাকে- সময়-অসময়ে দেখা করা, একটু সময় কথা না বললে মনে হয় একযুগ কথা হয়নি, এরকম আরও অনেককিছু ধীরে ধীরে ফিকে হতে শুরু করে। একথা সত্যি যে মানুষের ব্যস্ততা দিনদিন বেড়েই চলে, বেড়ে যায় দায়িত্ব।
কিন্তু কোনটা ব্যস্ততা আর কোনটা উপেক্ষা তা আপনি তার আচরণেই বুঝতে পারবেন। যদি দেখেন শত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে আপনার খোঁজ নিচ্ছে কিংবা দেখা করছে তবে বুঝতে পারবেন সম্পর্ক আগের মতোই সুন্দর আছে।
আর যদি সে ব্যস্ততাকেই অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চায় তবে বুঝে নেবেন সে আসলে আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইছে। তাই ব্যস্ততার অজুহাত কখনো কখনো সম্পর্ক ভাঙার লক্ষণও।
আমি তোমার যোগ্য নই
আমি তোমার যোগ্য নই, তুমি আমার চেয়ে যোগ্য কাউকে পাবে- সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে এটি খুব পরিচিত একটি অজুহাত। এই অজুহাত দেখানোর ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই ছেলেরা। আপনার প্রেমিক যদি এমনটা বলে থাকে তবে বুঝে নেবেন, সে আর আপনার সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে চাচ্ছে না। যোগ্যতার হিসাব করে সম্পর্ক হলে আপনাদের সম্পর্ক গড়ার কথাই ছিল না। মূলত সে নিজেকে নির্দোষ হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। আর সেজন্যই সে আপনাকে যোগ্যতার অজুহাত দেখিয়ে সম্পর্ক ভাঙতে চাইবে। এমনটা হলে নিজ থেকেই সরে আসা উত্তম।
পরিবার রাজি নয়
সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে ছেলেদের দেয়া আরেকটি বড় অজুহাত হলো পরিবার। ‘আমার পরিবার তোমাকে মেনে নেবে না’ অথবা মা-বাবার মনে কষ্ট দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়’ এগুলো সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় অজুহাত। যে আপনাকে চাইবে, সে সবদিক ভেবেই আপনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবে।
যদি কেউ এমন অজুহাত দেয়, তবে ধরে নিতে হবে সে আসলে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় না। একজন দায়িত্বশীল মানুষ কখনো এভাবে অজুহাত দেবে না।